উৎসব গুলো সাধারণত আমরা বন্ধুবান্ধব, পরিবার বা প্রিয়জনের সাথে কাটাতেই আমরা বেশি পছন্দ করি। কিন্তু শুধু চাইলেই কি হবে? শত ইচ্ছা করলেও অফিস থেকে তো আর ছুটি পাওয়া যাবে না। অগত্যা অফিসেই পালন করতে হয় বসন্ত, বৈশাখ সহ নানান আয়োজন। আর এসব আয়োজনে অফিসে কিন্তু কোনো কমতি থাকে না বরং ধূমধাম করে পালিত হয় এসব উৎসব।
আর উৎসব মানেই সাজগোজ। তবে অফিসের সাজগোজটা হওয়া উচিৎ একটুখানি আলাদা। উৎসবে অফিস লুক কি সাদামাটা হবে নাকি বেশ পরিপাটি হবে? কীরকম ভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলবেন? জেনে নিন এই ব্লগের মাধ্যমে।
১। বাঙালি উৎসবে অফিস লুক যেমন হতে পারে।
আপনি যতই ওয়েস্টার্ন পোশাক আশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করুন না কেনো এসব দিনে কিন্তু শাড়ির উপর কিছু হয় না। তবে শাড়ি পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না হলে একটা সুতি কুর্তি বা ফতুয়া কিংবা সুতি ধাঁচের সালোয়ার কামিজও মন্দ হবে না। প্রতিটি উপলক্ষ্যে একটি নিজস্ব কালার কোড থাকে। তাই পোশাক যেমনটাই হোক না কেনো কালার কোডের সাথে মানিয়ে নিলে নিজের কাছে আর বেমানান লাগবে না।
তবে শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ যেটাই পড়ুন না কেনো তাতে বাঙালি ভাব না থাকলে খুব একটা মানাবে না। তাই শাড়ির ক্ষেত্রে পড়তে পারেন জামদানী, টাঙ্গাইল কিংবা তাঁত। চাইলে দেশীয় বুটিকের শাড়ি গুলো এসব উপলক্ষ্ যের জন্য তুলে রাখতে পারেন। আর সালোয়ার কামিজ বা কুর্তির ক্ষেত্রেও সুতি, খাঁদি বা তাঁতের কাপড় এসব উপলক্ষ্যের জন্য পারফেক্ট কম্বিনেশন।
২। অফিসের স্থান বুঝে সাজসজ্জা
স্থান, কাল ভেদে সাজগোজের মধ্যে কিন্তু নিজের স্মার্টনেস প্রকাশ পায়। তাই অফিসের সাজগোজের ক্ষেত্রেও একটু বাড়তি সতর্ক থাকা উচিৎ। যেহেতু দিনের অর্ধেকটা সময় অফিসেই থাকতে হবে তাই বাড়তি সাজগোজ হয়ে উঠতে পারে আপনার অস্বস্তির কারণ।
অধিক সময় কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকাতে হলে লেন্স বা ফেইক ল্যাশ যা চোখের স্বাভাবিক কাজে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তা না পড়াই ভালো। কাঁচের চুড়ি বা অধিক শব্দ সৃষ্টি করে এমন কোনো অলংকার পড়লে তা অফিসের বাকীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই অলংকার সিলেকশনের ক্ষেত্রে কাঠ, মাটি বা মেটালের গহনা হতে পারে আপনার সাঁজের সাথে পারফেক্ট ম্যাচ।
৩। উৎসবের সাঁজ যেনো নিজের উপর বোঝা না হয়
সাধারণত উৎসব গুলোতে রোদ, জ্যাম, ধূলা, ভীড় সবকিছুই একটু বেশি থাকে। আর অফিস শেষে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান তো থাকবেই। তাই শাড়ি থেকে জুতা কোনো কিছুই যেনো নিজের উপর বোঝা না হয়। তাই একটু হালকা ধরণের শাড়ি পরা উচিৎ যা পুরো দিন আপনাকে চলতে ফিরতে স্বাচ্ছন্দ্য দিবে। জুতার ক্ষেত্রেও একটু হালকা ধরণের স্লিপার, হাওয়াই চটি বা হিলের ক্ষেত্রে ব্লক হিল পরিধান করা উচিৎ যা সারাদিনের চলাফেরায় কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।
যেহেতু বাঙ্গালিদের উৎসব বেশি সেহেতু প্রতিটি উৎসবের সাথে মিল রেখেই নিজেকে সাজিয়ে নিতে হবে। অলংকার সিলেকশনের ক্ষেত্রে কাঠ, মাটি বা মেটালের গহনা হতে পারে আপনার সাঁজের সাথে পারফেক্ট ম্যাচ। আর বাহিরে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকলে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে বেশি সাজগোজ যাতে নিজের উপর বোঝা না হয়ে যায়। সুতরাং, আমরা জানলাম কিভাবে উৎসবে নিজেকে সাজিয়ে নিতে হয় অফিস লুকের মাধ্যমে। স্থান বুঝে উৎসব বুঝে নিজেকে অতি সহজেই আমরা আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে পারি।