এক্সফোলিয়েশন এর জন্য টোনার
এক্সফোলিয়েশন এর জন্য টোনার ইউজের মূল কারন হলো স্কিনের ph level ঠিক রাখা। ইদানিংকালে বেশ কিছু টোনার এমন কিছু ইনগ্রেডিয়েন্ট সমৃদ্ধ হয় যা স্কিনকে স্মুথ করতে ও ন্যাচারাল ব্রাইটনেস বাড়াতে হেল্প করে।
অন্যদিকে টোনার ডেড সেলস দূর করার জন্য ও ব্যবহার হয় । আবার স্কিনকেয়ার রুটিনের পরবর্তী প্রোডাক্টগুলো স্কিনে ঠিকঠাক অ্যাবজর্ব হওয়ার জন্য ও টোনার ব্যবহার করা হয়। তবে অনেকেই এক্সফলিয়েশনের জন্য ঠিক টোনার বেছে নিতে পারেন না। আবার টোনার ইউজ করলেও সঠিক টোনার না ইউজ করার কারনে স্কিনে ভিজিবল কোনো রেজাল্ট দেখা যায়না বা সাডেন একনে ব্রেকআউট প্রবলেম হতে পারে।
এক্সফলিয়েটিং টোনার হিসেবে AHA, BHA, PHA যুক্ত টোনার স্কিনে বেশ ভালো কাজ করে। তবে টোনার ইউজ বা টোনার কেনার আগে কিছু জিনিস অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। টোনার এ যখন একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ইউজ করা হয় তখন সেই ইনগ্রেডিয়েন্টটি বিভিন্ন পার্সেন্টেজ এ ইউজ করা হয়। তাই টোনার বেছে নেয়ার সময় অবশ্যই ইনগ্রেডিয়েন্ট এর কনসেন্ট্রেশন % খেয়াল রাখতে হবে।
যারা বিগিনার হিসেবে এক্সফলিয়েটর ইউজ করবেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন ইনগ্রেডিয়েন্ট এর পারসেন্টেজ ২-৫% এর মধ্যে থাকে। কারন অনেক স্কিন সেনসিটিভ, একনে প্রোন থাকে। তাদের জন্য প্রথমে মাইল্ড টোনার ইউজ করা ভালো।
আবার যাদের স্কিনকেয়ার রুটিনে একটিভ এসিড যুক্ত অন্য স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট থাকে তাদের লো পার্সেন্টেজ এর টোনার ইউজ করা উচিৎ। এতে এসিড লেয়ারিং এ সুবিধা হয়। স্কিন কনসার্ন অনুযায়ী টোনার ইউজ শুরুর সিদ্ধান্ত নিলেও এমন হলে সেইফ সাইডে থাকা যায়।
৮% বা তার বেশি পার্সেন্টেজ যুক্ত টোনার প্রতিদিন ইউজ করা রেকমেন্ড করা হয়না। এতে স্কিনে ইরিটেশন বেড়ে যেতে পারে, স্কিনে একনে ব্রেক আউট দেখা দিতে পারে। তাই হাই কনসেনট্রেশন যুক্ত টোনার উইকে এক অথবা দুই দিন ইউজ করাটা বেটার।
অনেকে স্কিন হাইড্রেট রাখার জন্য টোনার পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে আল্ট্রা লো পার্সেন্টেজ যুক্ত টোনার ইউজ করা যায় যাতে একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট এর পরিমান ১% বা তার ও কম থাকে।