বয়সের সাথে সাথে আমরা সবাই বুড়ো হবো, এটাই স্বাভাবিক এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
কথায় আছে ” দিল তো বাচ্চা হে জি ” মানে শুধুমাত্র আমাদের মন কখনো বুড়ো হবে না তাই তো শুধু স্কিন নিয়ে আমাদের এতো মাতামাতি।
বয়সের সাথে সাথে বয়সের ছাপ আমাদের স্কিনে ফুটে উঠবে ,না শুধু মাত্র যে ফেসে ছাপ পরবে বেপারটা এমন না আমাদের ঘাড়ে, হাতে,পায়ের স্কিনেও এই ছাপ দেখা দিবে।
এখন বুড়ো হওয়া তো আর আটকানো যাবে না কিন্তু কিছুটা স্লো করা যাবে।
এখন কিভাবে স্লো করব ?
সবার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হলো আপনাদের সবার অপছন্দের সানব্লক।
জ্বি একটা সানব্লক আপনার স্কিনের অনেক গুলো প্রব্লেম কমিয়ে দিবে বয়সের ছাপ কমাবে,দাগ কমাবে এবং ফিউচার দাগ জেনো কম হয় সেটাও নিশ্চিত করবে। সানব্লক ব্যবহার না করে দামি দামি প্রোডাক্ট ইউজ করা মানে ফুটো বালতিতে পানি নেয়া ।
এর পড়ে একটা ভালো সেরাম হতে পারে অথবা ক্রিম হতে পারে যদিও আমি বলব সেরাম ব্যবহার করুন কারন সেরাম স্কিনে ভালো ভাবে পেনিট্রেট করতে পারে।
এখন প্রশ্ন কোন সেরাম?
বয়স যখন ১৮-২৪ বছর তখন ভিটামিন সি, নিয়াসিনামাইড, হাইলুরোনিক এসিড।
বয়স যখন ২৫-৪৫ বছর তখন রেটিনল
বয়স যখন ৪৫+ বছর তখন রেটিনল এবং পেপ্টাইড
ময়েশ্চারাইজার এমন একটা এসেন্সিয়াল পার্ট যে একে বাদ দেয়া যাবে না। না বাদ দেয়াই যাবে না।
আপনার স্কিন যদি অয়েলি স্কিন হয় তাহলে স্কিনের অয়েল কন্ট্রোল করবে ,সেবাম প্রোডাকশন রেগুলেট করবে এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে নিয়াসিনামাইড, হাইলুরোনিক, রেটিনল আছে এমন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন আর টেক্সচার টা দেখে দিবেন যে অয়েলি স্কিন ফ্রেন্ডলি কি না মানে ওয়াটারি টেক্সচার বা জেল টেক্সচার কি না ।
ড্রাই স্কিন হলে বেটা গ্লুকান আছে এমন ক্রিম নিতে পারেন আসলে ক্রিম চুজে ইনগ্রীডিয়েন্ট এর পাশাপাশি টেক্সচার টা অনেক বড় ফেক্ট, তাই একটু ভারি ক্রিমি টেক্সচার দেখে কিনুন
একনে প্রন স্কিন হলে AHA, BHA, PHA,সেন্টেলা, গ্রিন টি, টি ট্রি আছে এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
কি খুব সুন্দর মিনিমাম কিছু প্রোডাক্ট দিয়ে হয়ে গেলো না আমাদের এন্টি এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন। তাই রুটিন করার আগে চিন্তা করুন ইনগ্রিডিয়েন্ট নিয়ে, ভালো ভাবে ইনগ্রিডিয়েন্ট চুজ করতে পারলে আপনাকে এক গাদা প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে না।