ওয়াশ অফ মাস্ক কি এবং কেন ব্যবহার করা উচিৎ

best face mask for glowing skin

শুষ্ক ত্বক, ডিহাইড্রেড ত্বক বা তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পেতে এবং এসব প্রতিরোধ করতে ফেস মাস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আপনি যদি ওয়াশ অফ মাস্কের জগতে নতুন হয়ে থাকেন; তাহলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাবেন, কোনটা ব্যবহার করতে হবে এবং কোনটা ত্বকের জন্য উপকারী তাইই নিয়ে। ওয়াশ মাস্ক সাধারণত শীট মাস্ক এবং পিল অফ মাস্ক থেকে একদমই আলাদা এবং ভিন্ন রকমের।

ওয়াশ অফ মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট ত্বকের উপকারীতা সচরাচর চোখেই পড়ে। কিন্তু, কীভাবে ব্যবহার করবেন এবং কোনটা ব্যবহার করবেন? বিউটি ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে না জেনে আগানোটা মোটেও সমীচীন নয়। তাই, আজকের আয়োজনে থাকছে ওয়াশ অফ মাস্কের ইতিবৃত্তান্ত।

ওয়াশ অফ মাস্ক কি? 

ওয়াশ অফ মাস্ক শুধুমাত্র নামের ভিন্নতার জন্যই বলা হয়ে থাকে। আদতে এটি ফেস মাস্ক। এসব মাস্ক ইষৎ কুসুম গরম পানিতে হালকা জলে ধুয়ে ফেলার মতো করেই তৈরি করা হয়। সেজন্যই ওয়াশ অফ শব্দটির দ্বারা ধুয়ে পরিষ্কার করার ব্যাপারটাতে ইঙ্গিত থাকে। আর করতেও হয় তাইই, মানে কেবল জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হয়। আর কোনো কিছু করার দরকার নেই। বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে এই ওয়াশ অফ মাস্কগুলো। তবে সর্বাধিক পরিচিত এবং প্রচলিত হচ্ছে ক্লে মাস্ক। আর এটা হচ্ছে ওয়াশ অফ মাস্কের জগতের প্রধান বিষয়বস্তু।

Skinfood Black Sugar Mask Wash Off- 100g

ওয়াশ অফ মাস্কের ধরন 

ওয়াশ অফ মাস্কের দুনিয়ায় যদি আপনি নিজেকে স্বাগত জানান, তবে শুরুতেই আপনাকে ওয়াশ অফ মাস্কের ধরনগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে নিতে হবে। কেননা, প্রতিটি ওয়াশ অফ মাস্কই ব্যতিক্রমী এবং ত্বকের জন্য উপকারী। আবার, নির্দিষ্টও করা আছে কোনটা কোন ত্বকের জন্য উপকারী এবং কোনটা না। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক –

০১. ক্লে মাস্কস (সিবাম কন্ট্রোলিং) 

ক্লে মাস্ক হচ্ছে ওয়াশ অফ মাস্কের পাঠ্যপুস্তকে থাকা সংজ্ঞার মতো। তবে এই মাস্কগুলো সত্যিকার অর্থেই ক্লে বা কাদামাটি থেকেই নির্মিত; যা গভীর পরিষ্কারকরণ এবং হালকা এক্সফ্লোয়েশনে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই মাস্কগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন লোমকূপের গভীর থেকে ত্বকের অপরিষ্কার এবং ময়লা টেনে বের করে দেয়। এছাড়াও, অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূরীকরণ, লোমকূপের গোঁড়া মজবুতকরণ, ত্বকে প্রয়োজনীয় খনিজ ও পুষ্টি সরবরাহ এবং ত্বকের গভীর ও উপরিতলে শীতল একটা প্রভাব সরবরাহ করা।

Innisfree Super Volcanic Pore Clay Mask 2_x 100ml

গভীর পরিষ্কারকরণ সুবিধার পাশাপাশি ক্লে মাস্ক ত্বকে তেলের অধিযোজন বা প্রোডাকশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব এবং লোমকূপের ছিদ্র বৃদ্ধি ও ময়লা জমে যাওয়া নিয়ে ভোগান্তিতে থাকেন তাদের স্কিনকেয়ার সল্যুশন হচ্ছে এই ক্লে মাস্ক।

২. নারিশিং মাস্ক 

যদিও ক্লে মাস্কই সর্বাধিক পরিচিত এবং প্রচলিত, তবে ওয়াশ অফ মাস্কের জগতে আরো বিভিন্ন ধরণের মাস্ক রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে স্কিন নারিশিং ওয়াশ অফ মাস্ক বা স্কিন রিপেয়ারিং মাস্ক। ত্বককে পুনর্নির্মাণ এবং ত্বকের গভীরে পুষ্টির যোগান দিয়ে ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে দারুণ কার্যকরী নারিশিং মাস্ক। তবে এই মাস্কের সর্বোত্তম ব্যাপারটি হচ্ছে, এমনকি ধুয়ে ফেলার পরও ত্বকের উপর একটা স্তর রয়ে রায়। যেটা ত্বককে সুরক্ষিত রাখার জন্য ময়েশ্চারাইজিং স্তর হিসেবে কাজ করে।

Skinfood Rice Mask Wash Off- 100g

মধু এবং জিনসেং এর মতো উপাদান থাকাতে ত্বকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে নারিশিং মাস্ক। উল্লেখ্য দুটি উপাদানই ত্বকের ক্ষেত্রে এর প্রভাব দ্বিগুণ। তাই এই মাস্কের উপকারীতা হচ্ছে সেনসিটিভ স্কিন বা সংবেদনশীল ত্বক, ড্রাই বা শুষ্ক ত্বক, ড্যামেজড ত্বক এবং পরিণত ত্বকের নিরাময়ে দারুণ কার্যকরী।

৩. হাইড্রেটিং মাস্ক 

Skinfood Lavender Food Mask- 120g

ওয়াশ অফ মাস্কের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে হাইড্রেটিং মাস্ক। যে কোনো ধরণের ত্বকে ব্যবহারের জন্য এই মাস্কের সুনাম আছে। হাইড্রেটিং ওয়াশ অফ মাস্ক ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে পারে দ্রুত এবং হাইড্রেশন সরবরাহ করে; ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ত্বকের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার হয়। অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং শুষ্ক উভয় ত্বকের জন্যই এই প্রভাব উপকারী। ত্বকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবে এবং ত্বকের শুষ্কতা উভরই বৃদ্ধি পায়। ওয়াশ অফ মাস্কের তালিকায় তাই হাইড্রেটিং মাস্ক হচ্ছে একটি আন্ডারডগ।

ব্যবহারবিধি 

আসলে ওয়াশ মাস্ক ব্যবহারের সঠিক সময় বলতে কিছু নেই। তা সত্ত্বেও, সাধারণ কিছু নিয়ম কানুন আছে। মূলত আপনার ত্বকের ধরনের উপর নির্ভর করে কোন রকমের ফেস অফ মাস্ক আপনার ব্যবহার করা উচিত। হোক তা ক্লে মাস্ক, ক্রিম মাস্ক, শীট মাস্ক, পিল অফ মাস্ক বা যে কোন ধরনের ফেস মাস্ক, শুরুতেই আপনার ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। যদি ফেস মাস্কটি মুখ ধোঁয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকে তবে তাইই করুন পরিষ্কারের পরে; তবে আপনার ত্বকের বাড়তি যত্নগুলোর কাজ সেরে নিন আগেই।

যদি এমন হয় যে, ফেস মাস্কটি সারারাত মুখে রাখতে হবে তাহলে রাত্রিকালীন স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্টের সবার শেষে রাখুন এই কাজটি। নিয়মিত ব্যবহৃত ময়েশ্চারাইজিং প্রয়োগ না করলেও চলবে ফেস অফ মাস্কের ক্ষেত্রে।

 

লিংক:

  01. When to Use Wash Off Mask? The Best Time to Bust It Out!

02. EVERYTHING YOU NEED TO KNOW ABOUT USING FACE MASKS

3 I like it
0 I don't like it

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.