কমদামী হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট কেন আপনার জন্য ক্ষতিকর

কমদামী হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট

সেলেব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ সহ অনেকেই স্কিন হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট ইউজ করে থাকেন। সব স্কিন হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট ক্ষতিকর না হলেও বিশেষ কিছু ইনগ্রেডিয়েন্ট যুক্ত প্রোডাক্ট স্কিনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। কমদামী হোয়াইটেনিং প্রোডাক্টতারপরও মানুষ তার স্কিন টোন বিভিন্ন কারনে লাইট করতে চায়। সেটা মেলাজমার জন্য হতে পারে, সামাজিক কোনো কারনে ও হতে পারে। কিন্তু এর ফলে এমন কিছু হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট ইউজ করে যা পরবর্তীতে স্কিন ক্যান্সার, বার্নড স্কিন সহ আরো বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে।

দেখে নেয়া যাক কমদামী হোয়াইটেনিং প্রোডাক্টগুলোর ক্ষতিকারক দিকগুলো কী কী

বেশিরভাগ স্কিন হোয়াইটেনিং প্রোডাক্টগুলোতে যে ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো ইউজ করা হয় তার মধ্যে hydroquinone, kojic acid, mercury এর মতো কিছু ইনগ্রেডিয়েন্ট থাকে। আবার অন্যদিকে কিছু ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট সমৃদ্ধ স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট আছে যা স্কিনকে হেলদি রাখে, পাশাপাশি স্কিন ধীরে ধীরে ব্রাইট করে। আগেই বলা হয়েছে, সব হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট সেইফ না। কিছু প্রোডাক্ট ইনগ্রেডিয়েন্ট লিস্ট এ যা দেখায় মূল প্রোডাক্টে সেই অনুপাতে সব ইনগ্রেডিয়েন্ট নাও থাকতে পারে। তাই দেখা যায়, কিছু সাইট থেকে আনঅথরাইজড প্রোডাক্ট কিনে অনেকেই ভোগান্তির শিকার হন।

তবে যদি অথেনটিক হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট ও হয় সেটা একদিনে বার বার ইউজ না করাই ভালো। এতে স্কিনে ক্ষতি হতে পারে। আবার আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হলো কোনো স্কিন হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট ডার্মাটোলজিস্ট এর পরামর্শ ছাড়া বেশিদিন ইউজ করা যেন না হয়। কারন ওভারইউজের ফলে অনেক সময় স্কিন আরো ডার্ক হয়ে যায়।

খেয়াল রাখতে হবে যেন অনেক বেশি পার্সেন্টেজ এ hydroquinone ব্যবহার না করা হয়। এতে স্কিনের উপরের চামড়া অনেক বেশি এক্সফলিয়েট করে ফেলে। এতে স্কিন ক্যান্সার সহ লিভার ও কিডনি ড্যামেজ এর মতো মারাত্নক কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেক ডার্মাটোলিজস্ট ব্লিচিং ক্রিম খুব একটা সাজেস্ট করেননা।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এশিয়ান অনেক দেশ স্কিন হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট ইউজে ও সেল করতে বেশ আগ্রহ দেখায়। তাদের প্রায় ৬১% স্কিন প্রোডাক্ট স্কিন টোন লাইট হবে এই উদ্দেশ্য নিয়ে সেল করা হয়।

ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট এর বেশিরভাগ মানুষ তাদের ৭০% স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট ইউজ করে তাদের স্কিন টোন ফর্সা করার জন্য। কারন তারা মনে করে এতে তাদের সেলফ কনফিডেন্স বাড়ে, ক্যারিয়ারে উন্নতি হয় (Fair and lovely র TVC গুলো যারা দেখেছেন তারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন!) যা একেবারেই ভুল ধারনা। এই ধারনা নিয়ে বড় হওয়া মানুষগুলো ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানি কিছু রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ইউজ করে তাদের স্কিনকে অনেক সেনসিটিভ বানিয়ে ফেলে। আর পরবর্তিতে স্কিন নিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। বেশিরভাগ এশিয়ান ডার্মাটোলজিস্ট এমন কিছু পেশেন্ট পেয়েছেন যাদের প্রায় ৫০% মানুষ না বুঝে ক্ষতিকর রঙ ফর্সাকারী ক্রিম ইউজ করে স্কিন টেক্সচার খারাপ করে ফেলেছেন।

কিন্তু ন্যাচারাল স্কিন টোনকে কখনো রঙ ফর্সাকারী ক্রিম চেইঞ্জ করতে পারেনা, উলটো স্কিনের অনেক ক্ষতি করে। তাই কেউ যদি মনে করে তার স্কিন কোনো হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট ইউজ করলেই অনেক লাইট স্কিন টোনের অধিকারী হয়ে যাবে তাহলে সেটা ভুল ধারনা। কমদামী হোয়াইটেনিং প্রোডাক্ট অনেক ক্ষতিকর।

স্কিন টোন বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সবচেয়ে আগে যেটা দেখতে হবে তা হলো স্কিন হেলদি আছে কি না। স্কিনে একনে, ব্লেমিশ, ডার্ক স্পট, হাইপারপিগমেন্টেশন, ডিহাইড্রেশনের এর কারনে ও অনেক সময় স্কিন টায়ার্ড দেখায়, এসবের কারনে ন্যাচারাল স্কিন টোন ঢেকে যায়। ফলে স্কিন কিছুটা কালো দেখায়। তবে এসবের ও সমাধান আছে। তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত গাইডলাইন ও সঠিক স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট।

Chardike.com তাই আপনাদের জন্য এমন কিছু অথেনটিক প্রোডাক্ট নিয়ে এসেছে যা সরাসরি কোরিয়া থেকে ইমপোর্ট করা। স্কিন সচেতন মানুষদের কাছে কোরিয়ান স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বেশ জনপ্রিয় কারন তারা তাদের ব্র্যান্ডগুলোর প্রোডাক্ট লাইন এ কোনো ইনগ্রেডিয়েন্ট এমনভাবে ইউজ করা হয়না যা স্কিনের জন্য ক্ষতিকর।

Reference

0 I like it
0 I don't like it

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.