স্কিনের পাশাপাশি ঠোঁট ও ড্রাই হতে পারে। ঠোঁট ড্রাই হয়ে যাওয়া অনেক সময় শুধু ড্রাই না, কখনো কখনো ঠোঁট ফাটা, ঠোঁটে ইরিটেশন ও হতে পারে। অনেকের শুধু ড্রাই ও কোল্ড ওয়েদারে ঠোঁট ড্রাই হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। কিন্তু ঠোঁট যেকোনো সময়েই এক্সট্রিম ড্রাই হতে পারে বা এর থেকে খারাপ অবস্থাও হতে পারে। ঠোঁট অতিরিক্ত ড্রাই হয়েheilitis। ঠোঁট এর স্কিন কোনো কারনে ইনফেক্টেড হলে এই অবস্থা হতে পারে। এমন সিরিয়াস অবস্থায় ডার্মাটো গেলে ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা জ্বলুনি হতে পারে। এই অবস্থাকে বলা হয় Cলজিস্ট এর পরামর্শ নেয়া জরুরী।
ঠোঁট ড্রাই হয়ে যাওয়া, ঠোটের চামড়া উঠা বা ক্র্যাক হয়ে যাওয়া এসবের পেছনে কিছু কারন কাজ করে।
- কোল্ড ওয়েদার
- ফুড অ্যালার্জি
- সান ড্যামেজ
- একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস
- বার বার জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো
- স্পেসিফিক মেডিসিন
- ঠোঁটকে প্রপার ময়শ্চারাইজড না রাখা
- প্রপারলি পানি না খাওয়া
- মাত্রাতিরিক্ত স্পাইসি ফুড খাওয়া
এসবের কারনে বেশ কিছু সিম্পটমস ঠোঁটে দেখা যায়, যেমন, ঠোঁট লাল হয়ে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া ফেটে রক্ত বের হওয়া, ঠোঁট জ্বলতে থাকা, ঠোঁট ফ্লেকি হয়ে যাওয়া।
ঠোঁটে স্কিনের মতো অয়েল গ্ল্যান্ডস না থাকায় ঠোঁট থেকে এক্সট্রা কোনো সেবাম বের হয়না। তাই ঠোঁটকে ফাটা বা ড্রাই হওয়া থেকে রক্ষা করতে স্কিন কেয়ারের সাথে সাথে লিপ কেয়ার ও অনেক জরুরী। কিছু স্টেপ ফলো করলে ঠোঁট এর ড্রাইনেস ও রাফনেস দূর করা সম্ভব।
ঠোঁট ভালো রাখার জন্য প্রথমেই যা করা উচিৎ সেটা হচ্ছে একটা ভালো লিপ বাম ইউজ করা। Petrolatum, Petroleum Jelly, Mineral Oil, Lanolin, Honey, Beeswax, Shea Butter ও Cocoa Butter যুক্ত লিপ বাম ঠোটকে সফট ও স্মুথ রাখতে হেল্প করে।
কিন্তু দিনে একবার ব্যবহার করলেই হবেনা। ঠোঁট যাতে ড্রাই না হয় তাই লিপ্সটিক অ্যাপ্লাই করার আগে ও দিনের বিভিন্ন সময় লিপ বাম বা লিপ স্লিপিং মাস্ক ইউজ করতে হবে। তাই সবসময় বহন করা যায় এমন লিপ বাম বা মাস্ক হাতের কাছে রাখা ভালো।
ঠোঁটের শুষ্কতা কমাতে করনীয় কি?
দিনের বেলা বিশেষ করে UV rays এর সংস্পর্শে বেশি থাকলে ঠোঁট ড্রাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই SPF যুক্ত লিপ বাম ইউজ করতে হবে।ঠোঁটকে সবসময় ময়শ্চারাইজড রাখতে হবে। কখনো জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো যাবেনা। তাহলে মুখের ভেতরের জীবানু ঠোঁটে লেগে ঠোঁটের স্কিন আরো ড্রাই হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঠোঁট ড্রাই হয়ে গেলে ঠোঁটের চামড়া উঠতে শুরু করে। কিন্তু ঠোঁটের চামড়া কখনো জোরে তুলে ফেলা যাবেনা। এতে ব্লিডিং শুরু হতে পারে। ফলে ঠোঁটের হিলিং প্রসেস আরো স্লো হতে পারে।ঠোঁটে একটিভ কোনো ইনগ্রেডিয়েন্ট যেমন রেটিনল ইউজ করা যাবেনা। এতে ঠোঁট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঠোঁটে কোনো পিলিং সলিউশন ইউজ না করাই ভালো।
সপ্তাহে একদিন একটা লিপ স্ক্রাব ইউজ করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন লিপ স্কিন এর কোনো ক্ষতি না হয়। খুব ধীরে ধীরে স্ক্রাব করতে হবে এবং স্ক্রাবিং এর পর লিপ বাম অ্যাপ্লাই করতে হবে। তবে ঠোঁট ফাটা থাকলে বা ইরিটেশন হলে স্ক্রাবিং করার দরকার নেই। এতে আরো ক্ষতি হতে পারে। ঠোঁট যদি এক্সট্রিম ড্রাই হয়, ব্লিডিং হয় এবং খুব বেশী আনকমফোরটেবল লাগে তাহলে অবশ্যই ভালো একজন ডার্মাটোলজিস্ট দেখানো দরকার। কারন Cheilitis হওয়ার আশংকা থাকতে পারে। এটা এমন এক ধরনের কন্ডিশন যার কারনে ঠোঁট ড্রাই ও রাফ হয়ে যায়।