রমজান মাসে ইফতারের সময় সবাই খেজুর খুব পছন্দ করে থাকেন। অনেককাল আগে থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মানুষরা খেজুর দিয়েই তাদের ইফতার শুরু করতো। এখন সেই প্রচলন প্রায় সব দেশেই চালু হয়েছে। তবে খেজুর যে শুধু ইফতার এই খাওয়া হয় এমন নয়, বরং রিফাইনড সুগার থেকে খেজুর খাওয়াটা সবসময়ই বেশি স্বাস্থ্যকর মনে করা হয়। এটি এমন একটি ফল যা শরীর ও স্কিন দুটোর জন্যই ভালো। তাই খেজুর নিয়ে কিছু কথা জেনে রাখা জরুরী। ত্বক পরিচর্যায় খেজুর
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস শরীরকে অনেক ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম এবং শরীরের ভেতরে যে ক্ষতিকর টক্সিন আছে সেগুলোকে রিমুভ করতে হেল্প করে।
খেজুর হার্টের জন্য ও অনেক ভালো আবার এতে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি প্রপার্টিজ থাকায় এটি স্কিন কে হেলদি রাখতে বেশ ভালো কাজ করে। তাই কেউ যদি স্কিনকে রোজার সময় ও ভালো রাখতে চায় তাহলে ইফতারে তিন চারটি খেজুর রাখতে পারে। ত্বক পরিচর্যায় খেজুর
খেজুর খেলে কী কী উপকার হবে
স্কিনে গ্লো আসবে
খেজুর এ আছে ভিটামিন সি ও ডি যা স্কিনের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে অনেক ভালো কাজ করে। আবার স্কিনের মেলানিন প্রোডাকশন কমিয়ে স্কিনকে মলিন হওয়া থেকে রক্ষা করে।
এছাড়াও এতে আছে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টিজ যা স্কিনকে রাখে রিংকেল ও ফাইন লাইনস ফ্রি।
তাই খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখাটা হতে পারে অনেক হেলদি একটা খাদ্যাভ্যাস।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রনে রাখে
খেজুর এ অনেক কম ফ্যাট থাকে এবং এতে কোলেস্টেরল একেবারেই থাকেনা। তাই উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের বিভিন্ন সমস্যা রেগুলার খেজুর খেলে অনেকাংশেই কম হয়।
এনার্জি পাওয়ার একটি ভালো উৎস
আগেই বলা হয়েছে প্রায় সবাই খেজুর খেয়ে ইফতার শুরু করতে পছন্দ করেন। এর একটা কারন হলো খেজুরে আছে glucose, fructose এবং sucrose। তাই শুরুতেই খেজুর খেলে পরে অন্য ভারী বা রিচ ফুড খুব বেশী খাওয়া যায়না। এতে করে শরীরে ক্লান্তি আসেনা, কাজের শক্তি বহুগুনে বেড়ে যায়।
খেজুর তাই হতে পারে প্রোটিন এর একটি অন্যতম উৎস। যারা নিয়মিত এক্সারসাইজ করে তাদের খাদ্যতালিকায় খেজুর রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এতে প্রচুর ভিটামিন থাকায় আলাদা করে আর ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ইনটেক করার দরকার হয়না। এতে করে শরীরে ক্লান্তি আসেনা, কাজের শক্তি বহুগুনে বেড়ে যায়।
খেজুরে আছে ফাইবার
যেসব ফল বা খাবার ফাইবার জাতীয় হয় সেসব খাবার বা ফল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিৎ। এতে হজমের সমস্যা থাকলে সেটা কমে যায় আবার ব্লাড সুগার ও নিয়ন্ত্রনে থাকে। এছাড়াও কোষ্ঠোকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর শরীর ঠিকঠাক মতো কাজ করলে স্কিন ও ভালো থাকে।
ওয়েট লস ও ওয়েট গেইন
খেজুর খেলে দুটো উপকার হয়। এতে ন্যাচারাল সুগার থাকে তাই এটি যারা কম স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য ও ভালো। অন্যদিকে যারা ওয়েট লুজ করতে চান তাদের জন্য ও ভালো কারন খেজুর খেলে ক্ষুধার পরিমান কমে যায়। অনেককেই দেখা যায় খাবারের সময়, বিশেষ করে ইফতারের সময় শুধু খেজুর ও ফলের রস খেয়ে থাকেন। এতে যেমন শরীরের পুষ্টিগুন বজায় থাকে তেমনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও হওয়া যায়।
এতকিছু আলোচনা করার কারন হলো এসবকিছুর প্রভাব শরীরের বাইরের অংশে অর্থাৎ স্কিনে দেখা যায়। তাই স্কিনের বাইরের দিককে হেলদি রাখতে হলে প্রথমে সেটাকে ভেতর থেকে ডিটক্সিফাই করতে হবে যা খেজুর করতে সাহায্য করে।