রমজানে কীভাবে শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখবেন

workout-during-ramadan-fasting

রোজার এই এক মাস রেগুলার কাজের রুটিনে যেমন একটু পরিবর্তন আসে তেমনি আসে খাবার খাওয়ার বেলায় ও। এসময় সাধারনত রাত তিনটা থেকে সন্ধ্যা ৬ বা ৭ টা পর্যন্ত পানি ও যেকোনো ধরনের খাবার খাওয়া যায়না। পুরো দিনের খাবার খাওয়ার রুটিনটা শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। কিন্তু রোজা রেখেও সারাদিনের রেগুলার কাজ যেমন, পড়াশোনা, অফিস, বাসার কাজ এমনকি ডেইলি এক্সারসাইজ এসবকিছুই মেইনটেইন করতে হয়। শরীর স্বাস্থ্য তা নাহলে দেখা যায় কোনোকিছুই ঠিকঠাকভাবে চলছেনা।আবার বাকি সব জিনিসের পাশাপাশি রোজায় কীভাবে এক্সারসাইজ করতে হবে এটা ঠিক করাও জরুরী।

এতে শরীরের স্বাভাবিক ওজন ঠিক থাকে, স্কিন হেলদি থাকে ও কাজ করার দক্ষতায় কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়না।

রমজান মাসে এক্সারসাইজ কীভাবে করা যায় ?

প্রথমেই ভাবতে হবে শরীর কতটুকু এক্সারসাইজ নিতে পারবে। কারন সবার বডি কন্ডিশন এক নয়। তাই আগে শরীরের কথা শুনতে হবে। তারপর সেভাবে এক্সারসাইজ প্ল্যান করতে হবে। সেক্ষেত্রে যারা বছরের অন্য সময়ে প্রতিদিন এক্সারসাইজের মধ্যে থাকে আর যারা প্রতি সপ্তাহে এক্সারসাইজ করে তাদের প্ল্যানিং আলাদা হবে।

ভারী ও হালকা এক্সারসাইজ কোন সময় করবেন

সাধারনত রোজা রেখে ভার উত্তোলন বা কার্ডিও এক্সারসাইজগুলো দিনের বেলা না করাটা ভালো। তবে যারা ট্রেইনার বা বহু বছর ধরে অনুশীলন করে আসছে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা হতে পারে। কারন তাদের বডি শরীরচর্চায় অভ্যস্ত। তারপর ও দিনের বেলায় রেগুলার কাজের পাশাপাশি হাঁটা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো এসব কন্টিনিউ করা যায়। আবার ইফতার শেষ করে কিছুক্ষন দৌড়ানো যেতে পারে, আবার পুশ আপ করা যায় কিছুক্ষন। অনেকে বাড়িতেই জিম এ ব্যবহৃত জিনিসগুলো রেখে দেন যেমন জিম বল, পুশ আপ বার, ট্রেডমিল, এক্সারসাইজ সাইকেল, এক্সারসাইজ ম্যাট ইত্যাদি। এগুলো দৈনন্দিন জীবনে এক্সারসাইজ করাকে অনেক সহজ করে দেয়। শরীর স্বাস্থ্য

নতুন কোনো ব্যায়াম ট্রাই না করে রেগুলার এক্সারসাইজ করা

রোজা রেখে নতুন কোনো এক্সারসাইজ ট্রাই না করাই ভালো। কেননা এটি শরীরের জন্য নতুন হওয়ায় এর সাথে শরীরকে খাপ খাওয়াতে সময় লাগে। তাই নতুন ধরনের কোনো এক্সারসাইজ শুরু করতে চাইলে সেটা বছরের প্রথমে বা রোজার মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে শুরু করলে ভালো। রোজা রেখে বডি যেসব রেগুলার এক্সারসাইজে অভ্যস্থ সেগুলোই কন্টিনিউ করা উচিৎ।

জাঙ্ক ফুড বা প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলা ও অনেক বেশি পরিমানে না খাওয়া

রোজা রাখার ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশন তৈরী হতে পারে আবার অনেকে রোজা রেখে ইফতার বা সেহরিতে অনেক তৈলাক্ত খাবার বা গ্রিলড জাতীয় খাবার ও সফট ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকেন এই ভেবে যে এসব খেলে ক্ষুধা কম লাগবে। কিন্তু এতে করে শরীরে অতিরিক্ত অনেক ফ্যাট জমে যায়। তখন এক্সারসাইজ করার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন সেটা ও পাওয়া যায়না। কারন এসব খাবার খুব একটা পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হয়না। তাই খাবার এর তালিকায় ভিটামিন সি, প্রোটিন, ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার পরিমিত পরিমানে রাখা উচিৎ।

এভাবে এক্সারসাইজ করলে ও হেলদি ডায়েট মেইন্টেইন করলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা যেমন থাকেনা তেমনি স্কিন ও ভালো থাকে এবং হজমের ও কোনো সমস্যা হয়না। আবার বিভিন্ন ধরনের কঠিন অসুখ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

Reference:

0 I like it
1 I don't like it

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.