ফ্যাট টু ফিট। জীম ছাড়াই ঝরিয়ে ফেলুন অতিরিক্ত মেদ

ফ্যাট টু ফিট

সুস্থতা আমাদের সবারই কাম্য। আর সুস্থ সুন্দর শরীর পেতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু একবার শরীরে মেদ জমে গেলে তা কমানো কতটা কষ্টের তা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। আর জীম যেয়ে এক্সারসাইস করা একি সাথে সময় এবং ব্যয়সাপেক্ষ। তাই ঘরে বসেই অল্প কিছু নিয়ম মেনে ঝরিয়ে ফেলুন নিজের অতিরিক্ত মেদ।

১। চিনিকে না বলুন

মেদ কমানোর জার্নিতে চিনি হচ্ছে বিষের সমান। অল্প কিছু চিনিতেই আপনার পুরো দিনের এক্সারসাইস বৃথা হয়ে যেতে পারে। তাই মেদ কমাতে হলে চিনিকে দূরে ঠেলুন। রিফাইন্ড সুগার বা সাদা চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বরাবরই ক্ষতিকর। তাই খুব প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন লাল চিনি, গুড় বা মধু।

২। উপোষ থাকলে চলবে না

আমরা অনেক সময় মনে করি ডায়েট করার অর্থ হচ্ছে সারাদিন কিছুই না খেয়ে থাকা। কিন্তু এটি একদমই সঠিক উপায় নয়। আমাদের দেহ তার প্রয়োজনীয় শক্তি না পেলে তার স্বাভাবিক কাজ করতে পারবে না। আর পুরো দিন না খেয়ে থাকলে আমাদের ভিতর একবারে বেশি খাবার গ্রহন করার প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। তাই নিজের শরীরের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে ১২০০ ক্যালরি অবশ্যই গ্রহণ করা উচিৎ। তবে খাবার গ্রহনের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট জাতীয় খাবারে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ এনে প্রোটিন,ভিটামিন এবং ফাইবারযুক্ত খাবারের পরিমান বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

৩। শুধু ডায়েট করলেই চলবে না

আমাদের অনেকেরই এমন জিজ্ঞাসা থাকে যে খাওয়া দাওয়া তো খুব একটা করি না তবুও কেনো ওজন কমছে না?আসলে শুধু না খেয়ে থাকলেই তো চলবে না বাড়তি ওজন কমাতে হলে দরকার কায়িক পরিশ্রমের। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইস অথবা যোগব্যায়াম আপনার মেদ কমানোর জার্নিতে বেশ দ্রুত সফলতা আনতে সাহায্য করবে।

৪। পানির অপর নাম জীবন

স্কুল জীবনে এই কথা আমরা সবাই শিখেছি। আর সাথে এটাও শিখেছি যে প্রতিদিন আমাদের কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করা উচিৎ। কিন্তু বড় হয়ে এই কথা আমরা বেমালুম ভুলেই গেছি। সঠিক পরিমান পানি গ্রহন না করলে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি আর স্কিন প্রবলেমের সাথে এই ফিটনেস জার্নিতেও বেশ সমস্যা দেখা দিবে। অনেক সময় আমরা পানির পিপাসাকে ক্ষুধা মনে করে বেশ কিছু অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করে ফেলি। তাই নিয়মিত পানি পান করলে অসময়ে খাওয়ার ইচ্ছা অনেকটা কমে যাবে। এছাড়া প্রতিবেলার খাবার গ্রহনের আধা ঘণ্টা পূর্বে এক গ্লাস পানি পান করলে খাবার টেবিলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করার প্রবণতাও অনেকটা কমে যাবে।

৫। ঘুমের রুটিনে পরিবর্তন আনুন

ডায়েট করলাম, প্রতিদিন রুটিন করে হাঁটতেও গেলাম তবুও কোনো ফল পাচ্ছি না। এর কারণ হতে পারে আপনার ঘুমের অভ্যাস। খাওয়ার পর পর ঘুমিয়ে যাওয়া, সারারাত জেগে দিনের বেলা ঘুমানো অথবা অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস আপনার শরীরকে কিছুটা ভারী করে তুলতে পারে। রাতের খাবার গ্রহণের কমপক্ষে ২ ঘন্টা পর ঘুমানোর অভ্যাস করলে রাতের খাবার সহজে পরিপাক হতে পারে এবং দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। এছাড়া সারারাত জেগে থাকলে রাতে বাড়তি কিছু খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায় আর শরীর অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে ভারী হয়ে উঠে। আবার প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম আপনার শরীরে ওয়াটার ওয়েট বাড়িয়ে তুলে যার ফলে আপনার দেহে চর্বি না জমলেও শরীর স্থুলকার হয়ে উঠে।

তাই ফ্যাট টু ফিট হতে চাইলে শুধু খাওয়া দাওয়া নয় নজর রাখতে হবে নিজের শারীরিক পরিশ্রম, ঘুম এবং সর্বোপরি লাইফস্টাইলের উপর।

2 I like it
0 I don't like it

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.