আই ক্রিমের কি আসলেই কোন প্রয়োজনিয়তা আছে?
আই ক্রিম কি এটা সবাই জানি তাই আমরা জানবো আই এরিয়া তে কি আসলেই এক্সট্রা কেয়ারের প্রয়োজন আছে কি নাঃ
আমাদের চোখের আশে পাশের স্কিন আমাদের দেহের জন্য যে কোন স্কিন থেকে আলাদা।
১.অন্য যে কোন বডি পার্টসের স্কিন থেকে এখানের স্কিন অনেক পাতলা
২.এখানে কোন অয়েল গ্ল্যান্ড নেই সো স্কিন অলয়েজ ড্রাই থাকে
৩.খুব বেশি সেন্সিটিব
৪.চোখের নিচে অনেকের ফোলা থাকে
৫.এখানে মিলিয়া হতে পারে
৬.আর সবার আগে চোখের নিচেই বয়সের ছাপ আগে পড়ে।
ধরেন আপনার স্কিনে একনে আছে,স্পট আছে ,পিগ্মেন্টেশন,ডালনেস,এজিং এই প্রব্লেম গুলোর জন্য আপনি একটা ক্রিম ব্যবহার করেন। এখন এই ক্রিমে নিয়াসিনামাইড ২০% আছে ,অথবা ভিটামিন সি এক্টিব আছে ,অথবা রেটিনল ব্যবহার করছেন,অথবা AHA BHA আছে এমন অনেক এক্টিব ইনগ্রিডিয়েন্ট আছে।
আবার ধরেন আপনার স্কিন হলো অয়েলি, আপনি এমন একটা ক্রিম ব্যবহার করছেন যে আপনার স্কিনে অয়েল কন্ট্রোল করবে ।
অথবা আপনার স্কিন ড্রাই আপনি খুব ভারি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করছেন।
এখন উপরে দেখেন আমি কি বলেছি, আই এরিয়া অনেক বেশি সেন্সিটিব তাহলে চিন্তা করুন আপনি যে ক্রিম টা ব্যবহার করছেন সেটা তে এত গুলা এক্টিব ইনগ্রিডিয়েন্ট আছে, আপনি কিভাবে সেটা আই এরিয়া তে লাগাবেন? আপনার আই এরিয়ার স্কিন ডেমেজ হতে পারে।
আবার আপনার স্কিন হলো অয়েলি তাই আপনি এমন একটা ক্রিম ব্যবহার করছেন যে আপনার স্কিনে অয়েল কন্ট্রোল করবে কিন্তু আপনার আই এরিয়া তো এমনিতেই ড্রাই তাহলে আরো বেশি ড্রাই হয়ে যাবে না?
অথবা আপনার স্কিন ড্রাই আপনি খুব ভারি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করছেন কিন্তু আপনার আই এরিয়ার স্কিন তো পাতলা তার তো এতো ভারি ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন নেই এতে করে মিলিয়া হতে পারে।
এতো দূর পড়ার পর কি মনে হচ্ছে? আই ক্রিম প্রয়োজন?
যদি মনে হয় প্রয়োজন তাহলে জানাবেন তাহলে আই ক্রিম কখন,কোন বয়সে,কোন ইনগ্রিডিয়েন্ট,কোন প্রব্লেমের জন্য কোন আই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে, এবং কোন ধরনের ফেস ক্রিম আপনার কাছে থাকলে আপনার আলাদা আই ক্রিমের প্রয়োজন নেই সেটাও জানানো হবে।
এখন আলোচনা করব কি কি প্রব্লেম হতে পারে আই এরিয়া তে এবং তার সলুশন কিঃ
আই এরিয়ার প্রব্লেম গুলোঃ
- আই পাফিনেস
- এজিং সাইন
- ডার্ক সার্কেল
মিলিয়া(যদিও এটা আই এরিয়ার প্রব্লেম বেপারটা এমন না বাট আই এরিয়ার কাছাকাছি হয়ে থাকে তাই এটা নিয়েও আলোচনা করব)
এগুলো প্রব্লেম হওয়ার কারনঃ
আই পাফিনেসঃ ঘুম কম হলে এবং লবন বেশি খেলে চোখের নিচে পানি জমতে থাকে যার কারনে চোখের নিচে ফুলে যায়। ঘুম কম হলে আমরা পরের দিন খুব বেশি হামি দিতে থাকি, আমরা কান্না করলে আমাদের যেমন চোখ ফুলে যায় লাল হয়ে যায় তেমন খুব বেশি হামি দিলে চোখের সেম অবস্থা হতে থাকে।
এজিং সাইনঃযেহেতু বয়সের সাথে সাথে কোলাজেন কমতে থাকে তাই স্কিনে বয়সের ছাপ পড়ে যায় আর সবার আগে ছাপ পড়ে চোখে আর আমরা যারা হাসি খুশি মানুষ তাদের এই ছাপ টা আরো আগে পড়ে।কারন ফেসে যত মুবমেন্ট বেশি হবে তত বেশি স্কিনে ভাজ পরে যাবে।
ডার্ক সার্কেলঃ আমাদের চোখের নিচের স্কিন খুব পাতলা তাই চোখের নিচের রক্তনালী অনেক সময় ভাসমান থাকে, আবার অনেক সময় চোখের নিচের কোলাজেন কমতে থাকে এতে করে চোখের নিচে স্কিন আরো পাতলা হয়ে যায়,অনেকের জেনেটিক। অনেকের হাড়ের স্ট্রাকচার এমন হয়ে থাকে যে চোখের নিচে সবসময় একটা ছায়া এর মত থাকে।
মিলিয়াঃ এটি দেখতে অনেক টা হোয়াটহেডসের মতো। যখন স্কিনের কেরাটিন যা কিনা স্কিনের প্রোটিন এটা যখন স্কিনে কোন কারনে জায়গায় জায়গায় ফেসে যায় তখন এমন সাদা সাদা দানার মতো হয়ে দেখা দেয়।সানব্লক ব্যবহার না করলে,ফর্সা হওয়ার কিছু ইউজ করলে, ভুল টাইপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে এগুলো হয়ে থাকে সাধারনত কোন কারন ছাড়াই হয়। এগুলো পাকবে না,চুল্কাবে না, ব্যাথা করবে না এবং একনে রিমুবাল কোন কিছু তেই যাবে না । বিশেষ করে চোখের আশে পাশে হয় এ জন্য আজকে মিলিয়া নিয়ে কথা বললাম।
এখন এগুলো প্রব্লেমের সমাধানঃ
আই পাফিনেসঃপর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে,লবন চিনি কম খেতে হবে বিশেষ করে পরদিন যদি কোন স্পেশাল প্রোগ্রাম থাকে। এ ছাড়া যেদিন এই প্রব্লেম টা বেশি থাকবে ট্রাই করবেন গরম পানি দিয়ে গোসল করার এবং রাতে মাথার নিচে ২টা বালিশ দিয়ে ঘুমানোর। আর ভালো একটা আই ক্রিম দিয়ে হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করবেন। আই ক্রিম এর নাম জানতে চাইলে কমেন্টে জানাবেন।
এজিং সাইনঃসানব্লক ব্যবহার করুন, কোলাজেন আছে এমন আই ক্রিম ব্যবহার করুন, স্কিন এক্সফলিয়েট করুন এক্ষেত্রে AHA ব্যবহার করুন।
ডার্ক সার্কেলঃখুব ভালো করে ঘুমান,পানি পান করুন,ভিটামিন সি জাতীয় আই ক্রিম ব্যবহার করুন বা চোখের নিচের এরিয়া কে আর একটু উজ্জ্বল করবে এমন আই ক্রিম ব্যবহার করুন,কোলাজেন আছে এমন আই ক্রিম ব্যবহার করুন।তারপর যদি জেনেটিক হয়ে থাকে, বা আপনার চোখের নিচের হাড় এর ডিজাইন এমন হয়ে থাকে তাহলে কিছুটা হলেও কমবে কিন্তু একেবারে যাবে না ।
মিলিয়াঃ এটার জন্য তেমন কিছু প্রয়োজন নেই নিজে নিজেই হয় আবার নিজে নিজে চলে যায় এছাড়া খুব বেশি খারাপ লাগলে সানব্লক ব্যবহার করুন, স্কিন এক্সফলিয়েট করুন, রেটিনল আছে এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন তারপরেও না গেলে ডক্টরের কাছে যান।