আলফা হাইড্রক্সি এসিড গ্রুপের আরেকটি সদস্য হচ্ছে ল্যাকটিক এসিড। এটিও এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ত্বকে কাজ করে থাকে। মূলত টক দই থেকেই এই এসিডের উৎস। স্কিনের হাইপারপিগমেন্টেশন, দাগ দূর করে স্কিনটোন ইম্প্রুভ করতে এই এসিড দারুণ কার্যকর একটি উপাদান। এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে এটি ত্বকের উপরের স্তর সরিয়ে দেয় এবং সেলের টানওভার ও নতুন কোষ প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে। অনেক বেশি মাইল্ড হওয়ায় এটি সেনসেটিভ স্কিনের জন্যেও উপযোগী।
উপকারিতা
ল্যাকটিক এসিড আলফা হাইড্রক্সি এসিড গ্রুপের সদস্য হওয়ায় এটিও অ্যান্টি-এজিং এবং স্কিনটোন ব্রাইটার ও স্মুদার করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া ত্বকের যেসব উপকার করে থাকে –
- হাইপারপিগমেন্টেশন ও দাগ দূর করে;
- বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে;
- নিস্তেজ ও অনুজ্জ্বল ভাব দূর করে;
- ইনফ্লেমেশন ও একনির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে;
- ব্রণ, ব্রণের দাগ ও ক্ষত কমায়;
- নতুন স্কিন প্রতিস্থাপন ও সেল টার্নওভারে সাহায্য করে;
- স্কিনে ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে।
ব্যবহারবিধি
ল্যাকটিক এসিড বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই ব্যবহার করা উচিত। তবে প্রথমবার ব্যবহারের পূর্বে হাতের এক জায়গায় খানিকটা প্রয়োগ করে প্যাচ টেস্ট করে নেয়া যেতে পারে। উক্ত অংশ যদি ইনফ্লেমেশন বা চুলকানি না হয় তবে এই এসিড ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও, পরপর তিনদিন ব্যবহারের পর তিনদিন বিরতি দিতে হবে। যাতে ত্বক নিরাময়ের সুযোগ পায়।
সাবধানতা
যাদের স্কিনে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া প্রবণতা এবং লালচেভাব আছে তাদের ল্যাকটিক এসিড ব্যবহারের পূর্বের ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া দরকার। কারণ ল্যাকটিক এসিড ব্যবহারে হালকা ইরিটেশনের সম্ভাবনা থাকে।