নিয়াসিনামাইড বা ভিটামিন বি৩ পানিতে দ্রবণীয় একটি ডিরাইভেটিভ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের আটটি ভিটামিনের মধ্যে এটি একটি। এটিকে নিকোটিনামাইডও বলা হয়ে থাকে। তবে নিয়াসিন আর নিয়াসিনামাইড দুটি এক নয়। দুটি আলাদা রকমের ভিটামিন বি৩। কিন্তু অতিরিক্ত নিয়াসিন একটা সময় পরে নিয়াসিনামাইডে পরিণত হয়। নিয়াসিনামাইড মূলত একটি অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন, যা শরীরে তৈরি হয় না অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না; বরং এটি বাইরের উৎস থেকে প্রয়োজন পড়ে।
উপকারিতা
ত্বকের হাজারো সমস্যার একমাত্র সমাধান হতে পারে নিয়াসিনামাইড। যেজন্য এটিকে সুপারস্টার ইনগ্রিডিয়েন্টস বলা হয়ে থাকে। নিয়াসিনামাইড ত্বকের যেসব উপকারে আসে তা হচ্ছে –
- প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে উজ্জ্বল করে;
- বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না;
- ডার্কস্পট বা কালোদাগ দূর করে;
- ত্বকে তারুণ্যতা ধরে রাখতে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে;
- সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ও পরিবেশগত দূষণ থেকে দেয় সুরক্ষা;
- ত্বকের আদ্রর্তা ধরে রাখে;
- একজিমা বা রোসেসিয়া প্রতিরোধে কার্যকর;
- ব্রণ, ব্রণের দাগ ও হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করতে কার্যকর;
- ড্রাই, অয়েলি ও সেনসেটিভ ত্বকের উপযোগী।
ব্যবহারবিধি
ভিটামিন বি৩ ডিরাইভেটিভগুলো সাধারণত সিরাম ও ক্রিম জাতীয় প্রোডাক্টগুলোতেই বেশিরভাগ সময় পাওয়া যায়। এবং এসব প্রোডাক্ট দিনে দুবার ব্যবহারেই সর্বোত্তম ফলাফল লক্ষ্য করা যায়। হায়ালুরোনিক এসিডযুক্ত প্রোডাক্টেও এই ভিটামিন বি৩ পাওয়া যেতে পারে। যা ব্যবহার করা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য। যেহেতু এটি ভিটামিন বি৩ সেহেতু সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও নেয়া যেতে পারে। তবে সেটা অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ অনুসারে। আবার ভিটামিন বি৩ কমপ্লেক্সযুক্ত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেও নিয়াসিনামাইড ত্বকের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
সাবধানতা
নিয়াসিনামাইড ভিটামিন সিয়ের মতোই সকল ত্বকের জন্যই নিরাপদ। তবে অতিরিক্ত ভিটামিন বি৩ গ্রহণে মাথাঘুরা, বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া, নিয়াসিনামাইডযুক্ত ক্রিম ব্যবহারে অনেক সময় স্বল্প সময়ের জন্যে হলেও জ্বালাপোড়া, চুলকানি এবং লালচেভাব দেখা দিতে পারে। প্রেগন্যান্সি এবং ব্রেস্ট-ফিডিং চলাকালীন নির্দিষ্ট মাত্রার ডোজের জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ডায়াবেটিকস যাদের আছে তারা সাবধান। কেননা, নিয়াসিনামাইড রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।