রেটিনলকে স্কিনকেয়ারের হিরো বা স্কিনের জাদুকর বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। রেটিনল এবং রেটিনয়েড দুটি যৌগিকের সমন্বয়ে রেটিনল। রেটিনয়েডের মধ্যে আবার রেটিনয়েক এসিড ও রেটিনাইল পালমিডেড থাকে। মূলত ভিটামিন এ থেকেই রেটিনলের উৎপত্তি। ত্বকে নতুন কোষ প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে, রিঙ্কেলস ও ফাইন লাইনস প্রতিরোধ করে এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ নির্মুলে সহায়তা করে। এছাড়াও, স্কিনের দাগ নির্মূলে অত্যন্ত কার্যকর এই উপাদান।
উপকারিতা
স্কিনকেয়ারের জাদুকর খ্যাত রেটিনল বিভিন্ন উপকারে এসে থাকে। দাগ দূর করা থেকে শুরু করে নতুন কোষ প্রতিস্থাপনে সাহায্য করা। রেটিনল ত্বকের যেসব উপকার করে থাকে –
- নতুন কোষ প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে;
- ফাইন লাইনস ও রিঙ্কেলস প্রতিরোধ করে;
- ত্বকে কোলাজেন ও ইলাস্টিনের মাত্রা বাড়ায়;
- পিগমেন্টেশন ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে;
- ত্বকের গাঢ় কালো দাগ দূর করে;
- স্কিনটোন ইম্প্রুভ করে ও গ্লো ভাব ফিরিয়ে আনে।
ব্যবহারবিধি
রেটিনল একটিভ উপাদান হওয়ায় এটি ব্যবহারে রয়েছে বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা ও পরামর্শ। রেটিনল রাতের বেলা ব্যবহার করা উচিত। প্রথমত রাতের বেলা নতুন কোষ প্রতিস্থাপন ত্বকের জন্য নির্দিষ্ট একটা সময়। আর দ্বিতীয়ত রেটিনল ব্যবহারের পর সরাসরি সূর্যের রশ্মি ত্বকে পড়লে ত্বক পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। স্কিনে প্রচুর মৃত কোষ জন্মাতে থাকে তাই ডাক্তারের পরামর্শে রেটিনল ব্যবহার করা উচিত।
সাবধানতা
যদিও বলা হয়ে থাকে যে রেটিনল সব স্কিন টাইপের জন্যই নিরাপদ। তবুও ইরিটেশন হবার সম্ভাবনা থেকেই যায়। যেহেতু পুরনো ত্বকের কোষ সরিয়ে স্কিনে নতুন কোষ প্রতিস্থাপন করে এই উপাদান। তাই ত্বক হয়ে যায় অনেক বেশি সংবেদনশীল। তাই, রেটিনল ব্যবহারে ডাক্তারের পরামর্শ অত্যন্ত আবশ্যক।