স্কিনকেয়ারে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে স্যালিসাইলিক এসিড। শুধু গুরুত্বপূর্ণই নয় বরং কার্যকারিতার জন্য ব্যাপক জনপ্রিয়ও বটে। স্যালিসাইলিক এসিড মূলত বেটা হাইড্রক্সি এসিড গ্রুপের একটি সদস্য। এটি কার্বন বেজড একটি অর্গানিক মলিকিউল যা প্রাকৃতিকভাবে উইলো বার্ক, ফলমূল এবং শাকসবজিতে পাওয়া যায়। তেলে দ্রবণীয় একটি উপাদান হওয়ায় অতি সহজেই বন্ধ পোরস পরিষ্কারে দারুণ কার্যকর এই এসিড। ব্রণের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের পাশাপাশি ত্বক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে থাকে স্যালিসাইলিক এসিড।
উপকারিতা
স্যালিসাইলিক এসিড ত্বকের ইনফ্লেমেশন কমিয়ে ত্বককে করে মসৃণ। সিবাম অয়েলের মাত্রা কমিয়ে স্কিনকে ভারসাম্যপূর্ণ ও স্বাস্থ্যকর। এছাড়া, এই এসিড ত্বকের যেসব উপকার করে থাকে –
- ব্রণ ও ব্রণের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর;
- ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করে;
- সিবাম অয়েলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে;
- ত্বকের লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া কমায়;
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কার্যকর;
- ত্বকের এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে;
- বন্ধ হয়ে যাওয়া পোরস পরিষ্কার করে ও খুলে।
ব্যবহারবিধি
স্যালিসাইলিক এসিড নিয়মিত ব্যবহারের জন্য নয়। কেননা, ত্বকে ইরিটেশন ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবার ভয় থাকে। সেনসিটিভ স্কিনে ব্যবহারের পূর্বে পরীক্ষা করে নেয়া ভালো। সপ্তাহে ১/২ বার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডার্মাটোলজিস্টরা।
সাবধানতা
অয়েলি এবং একনি প্রোন বা ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য স্যালিসাইলিক এসিড খুব কার্যকর একটি উপাদান। বিশেষ করে, ব্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের মতো একনি দূর করার জন্যে। তবে ড্রাই ও সেনসিটিভ স্কিনে স্যালিসাইলিক এসিড ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।