শুধু স্কিনকেয়ারই নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্যেও ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। অ্যাসকরবিক এসিড নামেও অনেকে চিনে থাকে এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুনাগুণ সম্পন্ন ভিটামিন সি ত্বকের স্কিনটোন এবং টেক্সচার সুন্দর করে, ত্বককে হাইড্রেট রাখে এবং ত্বক থেকে বয়সের ছাপ ও রিঙ্কেলস দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, ভিটামিন সি স্কিনটোন উজ্জ্বল করা ছাড়াও ফ্রি রেডিক্যাল এবং সূর্যের ক্ষতি থেকে ত্বককে রাখে সুরক্ষিত। এই গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মূলত ফেইস ক্লিনজার, সিরাম, অয়েল এবং ময়েশ্চারাইজারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
উপকারিতা
ভিটামিন সি প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-এজিং, অ্যান্টি-পিগমেন্টরি ইত্যাদি গুণসম্পন্ন হওয়ায় স্কিনের ক্ষেত্রে এটি একটি যাদুকরী উপাদান হিসেবেই কাজ করে। ভিটামিন সি ত্বকের যেসব উপকারিতায় আসে তা হচ্ছে –
- স্কিনে কোলাজেনের মাত্রা বাড়ায় যা তারুণ্যতা ধরে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর;
- ড্যামেজ স্কিন রিপেয়ারে কাজ করে;
- বলিরেখা ও রিঙ্কেলস দূর করতে সাহায্য করে;
- ত্বককে নিখুঁত ও উজ্জ্বল করে;
- স্কিনটোন ও ত্বকের টেক্সচার সুন্দর করে;
- ডার্কস্পট বা কালোদাগ দূর করে;
- ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না;
- চোখের নীচের কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল দূর করে;
- স্কিনকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে;
- রোসেসিয়া, লালচে ভাব বা হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করে।
ব্যবহারবিধি
ড্রাই, অয়েলি বা কম্বিনেশন স্কিন টাইপ যেটাই হোক না কেন, ত্বকের সুস্বাস্থ্য এবং তারুণ্যময় লুক বজায় রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর। সাধারণত দুইভাবে ভিটামিন সি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এক – ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল ও খাবার গ্রহনের মাধ্যমে এবং দুই – সাময়িকভাবে গ্রহণ করা বা টপিক্যাল ভিটামিন সি।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলেই শরীরে ও ত্বকের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়। আর ধীরে ধীরে তা ত্বকের অবস্থারও উন্নতি করতে শুরু করে। টপিক্যাল ভিটামিন সি ত্বকের এপিডার্মিস লেয়ারে সরাসরি প্রবেশ করে এবং দ্রুতই কাজ করা শুরু করে। এই ক্ষেত্রে সিরাম আর ময়েশচারাইজারের নাম উঠে আসে। এছাড়াও, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্লিনজার, টোনার, ভিটামিন সি সিরাম, ময়েশ্চারাইজা এবং সানস্ক্রিনের কথা বলা যায়।
সাবধানতা
সাধারণত ভিটামিন সি সব ধরনের স্কিন টাইপের জন্যই নিরাপদ। তবে Tropical ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাদের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল বা সেনসেটিভ এবং অ্যালার্জিক, তাদের ত্বকে হলদেটে বিবর্ণতা লক্ষ্য করা যেতে পারে। অনেকের আবার জ্বলাপোড়া, চুলকানি এবং শুষ্ক ভাব দেখা দিতে পারে। তবে ভিটামিন সিয়ের মাত্রা কম আছে এমন পণ্য নির্দ্বিধায় ব্যবহার করা যাবে। অথবা ভিটামিন সি সিরামের পরপরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে উপরোক্ত সাময়িক অস্বস্তি থেকে মুক্তি মিলবে।