ওয়াটার ক্লিঞ্জার কি? ডাবল ক্লিঞ্জিং কি? ডাবল ক্লিঞ্জিং এ এর ভূমিকা কি ? আজ আমরা জানবো ওয়াটার ক্লিঞ্জার কি কেনো ব্যবহার করবেন?
ওয়াটার ক্লিঞ্জার বা ফেসওয়াস বা ক্লিঞ্জার এই নাম গুলোর সাথে আমরা সব সময় পরিচিত ।
ওয়াটার ক্লিঞ্জার কি? কেনো ই বা ব্যবহার করব? আমার স্কিনের জন্য আসলেই কত টা উপকারি ?
এই সব প্রশ্ন এর উত্তর দিবো আজকে।
ওয়াটার ক্লিঞ্জার কিঃ ওয়াটার ক্লিঞ্জার হচ্ছে অয়েল ক্লিঞ্জার ব্যবহার করার পরের স্টেপ। এটিকে মূলত আমরা ফেসওয়াস নামে চিনি। এটি ওয়াটার বেজ ময়লা ক্লিন করে থাকে যেমন ঘাম,ময়লা,আর অয়েল ক্লিঞ্জার ব্যবহার করার পর থেকে যাওয়া বাকি ময়লা ওয়াটার ক্লিঞ্জার দিয়ে রিমুব করতে হয়। ওয়াটার ক্লিঞ্জার
ওয়াটার ক্লিঞ্জার কিভাবে ব্যবহার করবেনঃ ভেজা হাতে নিয়ে ফোম করে ভেজা স্কিনে এপ্লাই করে ৩০সেকেন্ড/৪৫ সেকেন্ড ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ক্লিন করে ফেলবেন।
ওয়াটার ক্লিঞ্জার কাদের জন্য বেষ্টঃ যে কোন স্কিন টাইপের জন্য ওয়াটার ক্লিঞ্জার মাষ্ট ব্যবহার করতে হবে । এখন পরিবেষের যে অবস্থা মুখ ভালো ভাবে ক্লিন না করলে একনে হবে অ্যান্ড পরবর্তিতে স্কিনে আরো প্রব্লেম হবে ।
দিনে কতবার ওয়াটার ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা যাবেঃ দিনে ২ বার ওয়াটার ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা ভালো এর বেশি ব্যবহার করলে স্কিন অনেক ড্রাই হয়ে যেতে পারে ,স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল কমে যাবে এতে করে স্কিন আরো বেশি অয়েলি হয়ে যেতে পারে অথবা অনেক বেশি ড্রাই হয়ে একজিমা হতে পারে ।
ওয়াটার ক্লিঞ্জার ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা পাবেনঃ সারাদিন আমাদের কত ময়লা লাগে ,আমরা হাত লাগাই মুখে এবং আমরা হাত দিয়ে আবার মোবাইল ধরি,কম্পিউটার চালাই এছাড়া আরো কত কিছু করি হাত দিয়ে সেই হাত আবার মুখে লাগাই। আমাদের চুল মুখে লাগে,বালিশের কাভার মুখে লাগে ,অনেক সময় টেবিলে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকি এভাবে কত শত জার্মস লাগে মুখে ।
এ জন্য আমাদের মুখ টা পরিষ্কার ,জিবানু মুক্ত রাখার জন্য আমাদের মুখ ফেসওয়াস দিয়ে ক্লিন করতে হবে ।
স্কিনের অতিরিক্ত তেল,ময়লা ক্লিন করে।
স্কিন কে এক্সফলিয়েট করে তাই ডেড স্কিন দূর করে ।
আমরা যেহেতু ম্যাসাজ করে স্কিন ক্লিন করি তাই রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ।
যেহেতু স্কিনে ডার্ট জমে না তাই পোরস সাইজ ভালো থাকে ।
স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট স্কিনে ডিপলি পেনিট্রেট করে ভালো কাজ করতে পারে ।
আপনার জন্য কিভাবে সঠিক ওয়াটার ক্লিঞ্জার টা বাছাই করবেনঃ
টিপসঃ
ড্রাই স্কিন হলে এল্কোহল আছে এমন ক্লিঞ্জার থেকে দূরে থাকতে হবে।
অয়েলি স্কিন হলে লো PH ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে হবে ।
সেস্নিটিব স্কিন হলে ফ্রাগেন্স ,এসেন্সিয়াল ইনগ্রিডিয়েন্টস, সেন্থেটিক ইনপগ্রিডিয়েন্টস থেকে দূরে থাকতে হবে । ওয়াটার ক্লিঞ্জার
বেসিক্যালি ক্লিঞ্জার ৩ প্রকারঃ
১. ফোম ক্লিঞ্জারঃ অয়েলি স্কিন হলে ফোম ক্লিঞ্জার বেশি পছন্দ করে থাকবেন কারন ফোম ক্লিঞ্জার স্কিন কে খুব ভালো করে ক্লিন করে একটা ড্রাই অথবা ফ্রেস ফিলিং নিয়ে আসে ,স্কিনের এক্সট্রা অয়েল ক্লিন করে যেটা অয়েলি স্কিনের মানুষ জন খুবি পছন্দ করে থাকে ।
২. জেল ক্লিঞ্জারঃ জেল ক্লিঞ্জার স্কিন খুব ভালো করে ক্লিন করে কিন্তু স্কিন কে ড্রাই করে না ,এখানে কোন ফোম ক্রিয়েট হয় না কিন্তু তার মানে এই না এটা ফোম ক্লিঞ্জার থেকে কম এফেক্টিব এটা ড্রাই স্কিনের জন্য তৈরি করা তাই এটার টেক্সচার টা এমন হয়ে থাকে । ওয়াটার ক্লিঞ্জার
৩. ক্রিম টেক্সচারঃ এটাও ড্রাই স্কিনের জন্য হয়ে থাকে এই টাইপ ফেসওয়াস দিয়ে স্কিন ক্লিন করলে ড্রাই ফিল হয় না বরং ময়েশ্চারাইজ ফিল হয় ।
কিছু মতবাদঃ অনেকে মনে করেন সকালে ফেস পানি দিয়ে ক্লিন করলেই হয় যেহেতু রাতে এতো স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ইউজ করেছি অ্যান্ড ফেসে কোন ময়লা লাগেনি এজ আমরা তো আর বাহিরে যাই নি আবার অনেকে মনে করেন রাতে যেহেতু এতো প্রোডাক্ট ইউজ করেছি সো সকালে ফেসওয়াস ইউজ করা উচিত না হলে পোরস ব্লক হয়ে যেতে পারে।
এখন বটম লাইন হচ্ছে এটা আসলে এক এক জন এর স্কিন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এর উপর ডিপেন্ড করে । যদি আপনার বেড বালিশের কাভার আপনি প্রতিদিন ক্লিন করেন আর আপনার স্কিন অনেক ড্রাই হয়ে থাকে তাহলে সকালে পানি দিয়ে স্কিন ক্লিন করে সকালের রুটিন ফলো করুন ।
আর যদি আপনার বেড বালিশের কাভার আপনি প্রতিদিন ক্লিন করেন কিন্তু আপনার স্কিন অনেক অয়েলি তাহলে আপনি ফেসওয়াস ইউজ করুন সকালে, না হলে পোরস ক্লগ হয়ে একনে হতে পারে।
আর যদি আপনার বেড বালিশের কাভার আপনি প্রতিদিন ক্লিন না করেন তাহলে আপনার স্কিন টাইপ যেমনি হোক সকালে স্কিনে ফেসওয়াস ব্যবহার করবেন ।
আশা করছি সবার অনেক ভালো লাগবে । কমেন্টে জানাবেন যে এভাবে আরো সিরিজ কন্টিনিউ করব কি না?