স্কিনকেয়ারে আরো একটি খনিজ উপাদান হচ্ছে জিঙ্ক অক্সাইড। টাইটানিয়াম ডাই-অক্সাইডের মতোই সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্যে এটি পূর্ব পরিচিত। ত্বকের নিরাময় ও অ্যান্টি-সেপটিক হিসেবেও কাজ করে থাকে জিঙ্ক অক্সাইড। এছাড়াও, খুশকি দূর এবং ত্বকের ক্যানসার হওয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম জিঙ্ক অক্সাইড।
উপকারিতা
জিঙ্ক অক্সাইডের উপকারিতাসমূহ হলো –
- শিশুদের ডায়াপার র্যাশ প্রতিরোধ ও দূর করে;
- ত্বকের অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি বা র্যাশ দূর করা;
- ক্ষত নিরাময় ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ;
- শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে;
- খুশকি দূর করে;
- কোলাজেন ও নতুন কোষ প্রতিস্থাপনে সাহায্য করে।
ব্যবহারবিধি
জিঙ্ক অক্সাইড বিভিন্ন ফর্মে আসে যার মধ্যে মলম, ক্রিম বা পাউডারও হতে পারে। সেক্ষেত্রে যেই প্রোডাক্টটা ব্যবহার করছেন সেটার ব্যবহারবিধি পড়ে নেয়া ভালো। তবে জিঙ্ক অক্সাইড ত্বকে শুশে নেয়ার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যেমন শিশুদের ডায়াপার র্যাশের ক্ষেত্রে জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করতে হয় প্রতিবার ডায়াপার চ্যাঞ্জের সময়। আবার, সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে বাইরে বের হবার আধা ঘণ্টা আগে এবং প্রতি দুই ঘণ্টা পরপর।
সাবধানতা
জিঙ্ক অক্সাইড যে কোন স্কিন টাইপের জন্যই নিরাপদ। যদিও এটি নন-অ্যালার্জিক একটি উপাদান। তবুও সামাণ্য জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহারে পূর্বে জেনে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।