আমরা অনেকেই নিয়মিত রূপচর্চা করতে পছন্দ করি। কিন্তু আমরা এখনো রূপচর্চা বলতে আগেরদিনের হলুদ,বেসন আর মধু মেখে গোসল করাকেই বুঝি। প্রাকৃতিক উপাদান গুলোর এক বিশেষ মহিমা থাকে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের স্কিন কেয়ারের উপাদানেও এসেছে নতুনত্ব। বিশ্বায়নের আশীর্বাদে আমরা এখন বিভিন্ন দেশী বিদেশী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের সাথে পরিচিত হচ্ছি। এসব নিত্য নতুন প্রোডাক্টের মধ্যে সিরামের প্রচলন আজকাল বেশ জনপ্রিয়। অবে আমরা অনেকেই সিরামের ব্যবহার নিয়ে খুব একটা সচেতন নয়। সিরামকে বাড়তি খরচ ভেবে এড়িয়ে চলি। কিন্তু আশানুরূপ ফল পেতে কোনো প্রোডাক্টকে অবহেলা করলে চলবে না। তাই চলুন আজ জেনে নেয়া যাক সিরা-ম আমাদের ত্বকের জন্য কতটা উপকারী।
সিরাম কি?
সিরাম মূলত এক বিশেষ ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট যা তৈরি হয় খুব ছোট ছোট মলিকলস দ্বারা যা ত্বক বা চুলে সহজেই মিশে যেতে পারে। মলিকলস শক্তিশালী উপাদান দ্বারা তৈরি হয় যা কার্যকরী ভাবে কাজ করে। যার ফলে এটা স্কিন কেয়ারের বিভিন্ন বিষয় যেমন ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপ, অসমান ছোপ ছোপ দাগ, একনে এবং একনের দাগ ইত্যাদির সমস্যার সমাধানে খুব ভাল কাজ করে। আপনি যদি মনে করেন আপনার বর্তমান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট আপনার ত্বককে সজীব ও প্রানউজ্জল করতে পারছেনা তখনিই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। সিরাম ব্যবহার করতে হয় ত্বক পরিস্কার করার পর এবন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পূর্বে যখন ত্বকে ভেজা ভাব থাকে তখন। সিরাম ব্যবহার করতে হয় খুব অল্প পরিমাণ। পাঁচ ফোটার বেশী না। ত্বকে সিরা-ম ব্যবহারের ফলাফল বেশীরভাগ সময় সাথে সাথেই পাওয়া যায়। সাধারণত রাতে ঘুমানোর পূর্বেই ব্যবহার করা হয়।
সিরাম এবং ক্রিমের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
অনেকের মনে এমন প্রশ্ন জাগে যে এইসব স্কিনকেয়ার ট্রিটমেন্ট তো ক্রিম দিয়েও সম্ভব। তার জন্য সিরাম এর আলাদা করে প্রয়োজনীয়তা টা ঠিক কোথায়?
কিন্তু সিরাম স্পেশালি বানানো হয় ভিন্ন ভিন্ন ত্বকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে, তার স্পেসিফিক বিপর্যয় এর জায়গাগুলো নিশানা করে।
একটা যেকোনো ক্রিমে ময়েশ্চারাইজিং উপাদান থাকেই থাষগুলিকে এমনভাবে উদ্দীপ্ত করে যে তারা নিজেরাই আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করতে সমর্থ হয়।কে যেটা ত্বকের উপরে জলীয় আবরণ সৃষ্টি করে তার ময়েশ্চার লক করে কিন্তু ড্রাই ও রাফ স্কিনের জন্য বানানো সিরাম স্কিনের কো
তাই সিরামের বিকল্প কোনো ক্রিম হতে পারেনা।
সিরামের বিশেষ উপকারীতাঃ
👉 ভিটামিন সি,জ়িঙ্ক, স্যালিসিলিক অ্যাসিড ও রেটিনলযুক্ত সিরাম ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব কমিয়ে,রোমকূপ পরিষ্কার করে ত্বকের একনে দূর করতে সাহায্য করে।
👉 ভিটামিন ই, গ্লাইকোলিক এসিড ও হাইড্রোলিক এসিডযুক্ত সিরাম ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, গভীর থেকে এক্সফ্লোয়েট করে ত্বককে করে তুলে কোমল।
👉 গ্রীন টি এক্সট্র্যাক্ট সমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টযুক্ত সিরাম ত্বককে করে প্রানবন্ত।
👉 পেপটাইড সমৃদ্ধ সিরাম ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ত্বককে টানটান করে ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
অতএব সকল ধরনের ত্বকের সমস্যার জন্যই সিরামের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। এতে ত্বকের উজ্জ্বল্যতা এবং লাবন্যতা ফিরে এসে আপনাকে দিবে এক অসাধারন অনুভূতি।