অয়েল ক্লিঞ্জার কি ? আমাকেও কি অয়েল ক্লিঞ্জিং করতে হবে?
এখন বলতে গেলে প্রায় সব কোম্পানি ক্লিঞ্জিং অয়েল তৈরি করছে । অয়েল ক্লিঞ্জার
আগে বেপার টা শুধু কোরিয়ান স্কিন কেয়ারে সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু এখন ওয়েষ্টার্ন কান্ট্রি গুলো তেও কিন্তু ক্লিঞ্জিং অয়েলের ক্রেজ ছড়িয়ে গিয়েছে।
কিন্তু ক্লিঞ্জিং অয়েল টা কি ? কেনো ই বা ব্যবহার করব? আমার স্কিনের জন্য আসলেই কত টা উপকারি ? অয়েল ক্লিঞ্জার
এই সব প্রশ্ন এর উত্তর দিবো আজকে।
ক্লিঞ্জিং অয়েল কিঃ মেকআপ,ডার্ট , ইম্পিউরিটিস ,এক্সেস অয়েল দূর করার অনেক গুলো উপায়ের মধ্যে মোষ্ট এফেক্টিব একটা উপায় । এটা পানিতে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায় ,এটা অয়েল অর ক্রিম বেজ হতে পারে ।
ক্লিঞ্জিং অয়েল কিভাবে কাজ করেঃঅয়েল যে স্কিন কে শুধু নারিশ করে বেপারটা তা না ,
ক্লিঞ্জিং অয়েল লিপোফোলিক সল্বেন্ট হিসেবে কাজ করে মানে হলো ক্লিঞ্জিং অয়েল স্কিনে থাকা তেল বা সেবাম, মেকাপে থাকা তেল কে আকর্ষন করে সেগুলোর সাথে মিশে যায় এভাবে সেগুলো কে ডিজলব করে ফেলে আর ক্লিঞ্জিং অয়েল যেহেতু পানির সাথে মিশে যায় মানে ক্লিন হয়ে যায় তখন সাথে করে মেকআপ ও সেবাম কেও ক্লিন করে ফেলে।
এখন যদি আমরা নারিকেল তেল,সরিষা তেল ,বেবি অয়েল বা নারিশিং কোন তেল ব্যবহার করেন সেগুলো পানির সাথে ডিসলব হয় না ,পোরসে ডুকে থাকে ,স্কিনে থাকা তেলের সাথেও মিশে না এতে করে স্কিনে থাকা পোরস গুলো বন্ধ হয়ে যায় পরে স্কিনে আরো প্রব্লেম হতে পারে । অয়েল ক্লিঞ্জার
ক্লিঞ্জিং অয়েল কিভাবে ব্যবহার করবেনঃড্রাই স্কিনে অ্যান্ড ড্রাই হাতে নিয়ে চেহারে তে ম্যাসাজ করতে হবে তারপর হাল্কা পানি নিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে এতে করে এটা স্কিনে দুধের মতো কালার আর ক্রিমি টেক্সচার হয়ে যাবে তারপর পানি দিয়ে স্কিন ক্লিন করে ফেলবেন । ১ মিনিট এর মতো সময় নিয়ে অয়েল ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে হবে । অয়েল ক্লিঞ্জার
ক্লিঞ্জিং অয়েল কাদের জন্য বেষ্টঃ যে কোন স্কিন টাইপে ক্লিঞ্জিং অয়েল ব্যবহার করা যাবে।
একনে প্রন স্কিন,ড্রাই স্কিন, অয়েলি স্কিন, কম্বিনেশন স্কিন ,নরমাল স্কিনেও ব্যবহার করা যাবে ,শুধুমাত্র যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে আপনার স্কিন প্রব্লেম অনুযায়ী সঠিক অয়েল ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে হবে ।
দিনে কতবার অয়েল ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা যাবেঃ দিনে একবারের বেশি অয়েল ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা উচিত না ,তাই রাতে স্কিন কেয়ার করার আগে অয়েল ক্লিঞ্জার ব্যবহার করাই শ্রেয় ।
অয়েল ক্লিঞ্জার ব্যবহার করলে কি কি সুবিধা পাবেনঃ
খুব সহজে মেকআপ ও সানব্লক রিমুব হবে ।
স্কিনে যেহেতু জোরে ঘষা মাজা হবে না তাই স্কিনে সহজে রিংকেল পরবে না ।
স্কিন ড্রাই না করে স্কিন কে ক্লিন করবে এতে করে স্কিন অনেক স্মুদ হবে ।
স্কিনের সেবাম ডার্ট ক্লিন হবে তাই পোরসে কোন ময়লা থাকবে না এতে করে একনে হবে না, পোরস বড় হবে না ।
ব্ল্যাকহেডস রিমুব করবে।
আপনার জন্য কিভাবে সঠিক অয়েল ক্লিঞ্জার টা ব্যবহার করবেনঃ
ক্লিঞ্জিং অয়েল ২ প্রকারঃ
১.সিন্থেটিক অয়েল বেজ
২.প্ল্যান্ট অয়েল বেজ
প্ল্যান্ট বেজ অয়েল ক্লিঞ্জারঃ যদি কোন অয়েল ক্লিঞ্জার এর ইনগ্রিডীয়েন্ট লিষ্টের শুরুতে সানফ্লাওয়ার সিড অয়েল,গ্রেপ সিড অয়েল,জোজোবা সীড অয়েল ,ব্ল্যাক সিড অয়েল,অলিভ অয়েল থাকে অথবা বেশির ভাগ ইনগ্রিডিয়েন্টস এগুলো হয়ে থাকে তাহলে সেটা কে প্ল্যান্ট বেজ অয়েল ক্লিঞ্জার বলা হয় ।
সিন্থেটিক বেজ অয়েল ক্লিঞ্জারঃ ক্যাপ্রিলিক/ক্যাপ্রিক ট্রাইগ্লিসারাইড, আইসোপ্রোপিল মায়োরিস্টেট এই অয়েল গুলো একদম শুরুতে থাকবে এবং প্ল্যান্ট বেজ অয়েল এখানে কম থাকবে ।
অনেকেরি প্ল্যান্ট বেজ অয়েল স্যুট করে না তাদের জন্য সিন্থেটিক বেজ অয়েল খুব ভালো হবে ।
আরেকটি উপায় হচ্ছে ট্যাক্সচারঃ
১. যাদের স্কিন অনেক ড্রাই তাদের জন্য ঘন টেক্সচারের অয়েল বেশি ভালো হবে এতে করে স্কিন ক্লিন হবে এবং হাইড্রেটেড থাকবে
২. যদি স্কিন অয়েলি টু কম্বিনেশন টাইপ হয় তাহলে হাল্কা টেক্সচারের অয়েল ক্লিঞ্জার বেশি ভালো হবে এত করে স্কিন ক্লিন এবং ফ্রেশ থাকবে ।
এডভান্স কিছু টিপস কিভাবে ক্লিঞ্জিং অয়েল ব্যবহার করে ব্ল্যাকহেডস রিমুব করা যাবেঃ
স্কিনের মেকআপ ক্লিন করে যে এরিয়া তে সেবাম বেশি তৈরি হয়,পোরস বড় ও যে এরিয়া তে ব্ল্যাকহেডস বেশি সেখানে ক্লিঞ্জিং অয়েল নিয়ে ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ক্লক ওয়াইজ ম্যাসাজ করতে হবে সাথে ব্ল্যাক সুগার মাস্ক নিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে হবে পড়ে পানি দিয়ে ক্লিন করে ফেলবেন । এভাবে সপ্তাহে ২/৩ দিন করবেন ।
এই লিঙ্কে গিয়ে আমাদের কাছে এভেইলেবেল অয়েল ক্লিঞ্জার গুলো দেখে নিতে পারেনঃ https://chardike.com/product…/skin-care/cleansing-oil/
অথবা আমাদের কল করে জেনে নিতে পারেন আপনার জন্য কোন অয়েল ক্লিঞ্জারঃ 01953334944
অথবা আমাদের ইনবক্স করতে পারেনঃ https://www.facebook.com/chardikebd/