সিস্টিক একনে কি এবং এর প্রতিকার

cystic

সিস্টিক একনে কি এবং এর প্রতিকার

ত্বকের জন্য ব্রণের চাইতে বড় কোনো অভিশাপ আর নেই। উপরন্তু, সিস্টিক একনের বিস্তার অনেকটা ট্রমার মতোই কাজ করে। শুধু যে ত্বক জুড়েই বিস্তার লাভ করে এমন নয়; বরং যে ব্যথাটা দেয় তা উপেক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন। উপরন্তু, একটাতে যদি ভুলবশত চাপ দেন তাহলে চেহারায় বিস্তার লাভ করাটা মোটেও দেরি হবে না। ব্রণ কয়েক ধরণের আকার-আকৃতি নিয়ে আসলেও সিস্টিক একনের চাইতে মারাত্মক কোনটা নয়।
cystic-acne-min

Example of Cystic Acne

সিস্টিক একনে কি? 

আপনার ত্বকে যদি গভীর, লাল এবং বেদনাদায়ক ব্রণ ব্রেকআউট করে তাহলে সেটা সিস্টিক একনে। সাধারণত ত্বকের মৃত কোষগুলো পোরসে আটকে গিয়ে ব্রণ দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়া আটকা পড়ে, আর এতেই জায়গাটি ফুলে যায় এবং লালচে ভাব দেখা দেয়। আর যখন এই সংক্রমণ আপনার ত্বকের গভীরে ঢুকে যায় তখন এটিকে সিস্টিক একনে বলে। এতে ব্যথা বা চুলকানিও হয়। আর যদি একটা সিস্ট ফেটে যায় তাহলে অতি দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়।

সিস্টিক একনে কেন হয়? 

ডাক্তাররাও নিশ্চিত না কেন সিস্টিক একনে হয়। তবে হরমোনের অ্যান্ড্রোজেন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিশোর বয়সে অ্যান্ড্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। ত্বকে এতে নানান পরিবর্তন হয় এবং পোরস বন্ধ হয়ে ব্রণের শুরু হয়। ব্রণ হতে পারে এমন কারণগুলোর মধ্যে হচ্ছে –
  • একজন নারীর ঋতুচক্র
  • গর্ভাবস্থা
  • মেনোপজ
  • পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম
  • নির্দিষ্ট কিছু ওষুধপত্র
  • কিছু স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট
  • খুব টাইট পোশাক
  • উচ্চ আর্দ্রতা বা ঘাম
  • যথেষ্ট পরিমাণে মুখ না ধোয়া
  • হস্তমৈথুনসহ যৌন ক্রিয়াকলাপ
  • চকলেট
  • চিটচিটে বা মশলাদার

সিস্টিক একনের ঝুঁকির কারণগুলো 

কৈশোরকালীন সময়েই সিস্টিক একনের শিকার হবার সম্ভাবনা থাকে সবচাইতে বেশি। তবে এটি যেমন ৮ বছর বয়সী বাচ্চারও হতে পারে; তেমনি ৫০ বছর বয়সী লোকেদেরও হতে পারে। মুখ, ত্বক, বুক, পিঠ এবং কাঁধে সিস্টিক একনে দেখা দেয়।
আবার পিতা-মাতার কাছ থেকেও এই রোগ সন্তানের দেহে স্থানান্তরিত হতে পারে। মারাত্মক সিস্টিক একনের শিকার হয় পুরুষেরা। আর নারীদের ক্ষেত্রে মুখমণ্ডলের নীচের অংশে এটি বৃদ্ধি লাভ করে। সিস্টিক একনে আপনার ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলতে সক্ষম।
cyctic acne
  • গভীর, ক্ষুদ্র গর্ত (আইসপিকের দাগ)
  • প্রশস্ত গর্ত
  • লম্বা, অসম কাঁটা দাগ

সিস্টিক একনে ট্রিটমেন্ট – মেডিক্যাল 

হালকা ব্রণের ওষুধগুলো কখনোই সিস্টিক একনের ট্রিটমেন্টে তেমন একটা কার্যকর হতে পারে না। সেজন্য অন্যান্য ওষুধপত্র রয়েছে।
ওরাল অ্যান্টি-বায়োটিকস – ব্যাকটেরিয়া এবং কম ইনফ্লেমেশন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ওরাল আন্টি-বায়োটিকস।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি – এটি নারীদের হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এবং হরমোনাল একনে থেকেও সুরক্ষা দেয়।
বেনজোয়েল পেরোক্সাইড – বেনজোয়েল পেরোক্সাইড ত্বকের ব্যাকটেরিয়া মারে এবং ইনফ্লেমেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
রেটিনয়েড – রেটিনয়েড ভিটামিনের একটি ফর্ম যা জেল, লোশন বা ক্রিমের রূপে পাওয়া যায়। ছিদ্রগুলো উন্মুক্ত করতে এবং অ্যান্টি-বায়োটিকসকে তার কার্যকারিতা আরো তীব্র করতে সহায়তা করে।
আইসোটিট্রেনয়ন – আইসোটিট্রেনয়ন (পূর্বে যা অ্যাকুটেন, এখন অ্যাবসারিকা, অ্যামনেস্টেম, ক্লারভিস, মায়োরিসান এবং সোট্রেট) ব্রণ হবার সব কারণকে আক্রমণ করে। গর্ভবতী সময়ে এই ওধুধ নেয়া মোটেও উচিত নয়।
স্পাইরোনোল্যাকটন –  অতিরিক্ত তেল কমাতে স্পাইরোনোল্যাকটন কাজ করে। তবে এটিতে স্তন বৃদ্ধির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় পুরুষদের জন্য ডাক্তাররা প্রেসক্রাইব করেন না।
স্টেরয়েড – ইনজেকশনের মাধ্যমে দেয়া হয় ইনফ্লেমেশন কমানোর জন্য।

সিস্টিক একনে ট্রিটমেন্ট – ঘরোয়া 

শুধু মেডিক্যালই নয় বরং ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে সিস্টিক একনের ট্রিটমেন্ট করা যেতে পারে। এতে করে পুরোপুরি নির্মুল না হলেও অধিকতর খারাপ অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
দিনে দুবার মুখ ধুতে হবে। এবং ঘামাবার পর তো অবশ্যই। আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ক্লিনজার প্রয়োগ করতে হবে ত্বকে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এক্সফোলিয়েন্টের মতো অস্বস্তিকর প্রোডাক্ট ব্যবহার বন্ধ রাখুন বা ত্বক স্ক্রাব করা থেকে বিরত থাকুন। সিস্টগুলো ধরবেন না বা ফাটাতে যাবেন না। এতে করে আপনি সংক্রমণকে আরো গভীরে নিয়ে গিয়ে ছড়িয়ে দিতে পারেন। ফলে ত্বকে দীর্ঘস্থায়ী দাগও পড়ে যেতে পারে। তাই সেগুলো না ছুঁয়ে নিজে থেকেই নিরাময় হতে দিন। রোদ থেকে দূরে থাকুন এবং অবশ্যই ট্যান করা থেকেও বিরত থাকুন। এতে ত্বক ড্যামেজ হবার সম্ভাবনা থাকে।
রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করুন। কেননা, স্ট্রেস আপনার শরীর থেকে আরো হরমোন নিঃসরণ করতে পারে যা ত্বকে ব্রণের ব্রেকআউট ঘটাতে পারে। স্বাস্থ্যকর একটি জীবনধারা বেছে নিন। পর্যাপ্ত ঘুম এবং ব্যায়াম করুন। লো-গ্লাইমেটিক ডায়েটের সঙ্গে খানিকটা সুগার এর লক্ষণগুলো আরো সহজ করে দেয়।
লিংক: 

01. Cystic Acne. 

02. How to Get Rid of Cystic Acne, According to Dermatologists. 

03. What Is Cystic Acne and How Is It Treated?

📞 ত্বকের সমস্যার জন্য প্রোডাক্ট সাজেশন পেতে কল করুনঃ 01790 270066 অথবা ইনবক্স করুন। 
🌐 ১০০% অরিজিনাল কোরিয়ান প্রোডাক্টঃ https://chardike.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © chardike blog 2021
1 I like it
0 I don't like it

Leave a Reply

You must be logged in to post a comment.