ভালো সানস্ক্রিন কিভাবে বাছাই করবেন?
সানস্ক্রিন সূর্যের অতি বেগুনি ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। সানস্ক্রিন ক্রিমে থাকা সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টরই মূলত রক্ষাকারী উপাদান। তাই যে কেউ সানস্ক্রিন কিনতে গেলেই সবার আগে এসপিএফ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে। কিন্তু একটা ভালো সানস্ক্রিন মানেই কি শুধুমাত্র এসপিএফ? নাহ, ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়।
ভালো সানস্ক্রিন চেনার কিছু উপায় আছে। অর্থাৎ ভালো সানস্ক্রিন বাছাই করার আগে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখাটা অত্যন্ত জরুরী। অন্তত ডার্মাটোলজিস্ট এবং চিকিৎসকরা তাইই বলে। আর সেই বিষয়গুলো নিয়েই সাজানো হয়েছে আজকের আয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ভালো সানস্ক্রিন কিভাবে বাছাই করতে হবে।
ব্রোড স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন
অবশ্যই ব্রোড বা মাল্টি-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন বাছাই করুন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি দুই ধরনের – ইউভিএ এবং ইউভিবি। সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টরের মাত্রা কখনোই এই দুটি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তবে ব্রোড বা মাল্টি-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
ব্রোড স্পেকট্রাম সানস্ক্রিনে থাকে – বেনজোফেনোনস (অক্সিবেনজোন), সিনামেটস (অক্টাইলমিথাইল সিনামেটস এবং সিনক্সেট), সুলিসোবেনজোন, সালিসাইলেটস, টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড, জিঙ্ক অক্সাইড, অ্যাভোবেনজোন (পারসোল ১৭৮৯) এবং ইকামসুল (ম্যাক্সোরিল এসএক্স)।
এসপিএফের মাত্রা কত হলে ঠিক আছে?
ইউভিবি রশ্মির ক্ষতিকর ভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয় এসপিএফ বা সান প্রটেক্টর ফ্যাক্টর। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এসপিএফ ১৫ এর মাত্রা ঠিক আছে। তবে যাদের ত্বক অত্যন্ত ফর্সা কিংবা পরিবারে স্কিন ক্যানসারের মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে; তাদের জন্য এসপিএফ ৩০ মানানসই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। তবে মনে রাখবেন, এসপিএফের মাত্রা যত উপরের দিকে উপকারিতা তত কম হবে।
ইউভিএ প্রটেকশন
ইউভিএ রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষার জন্য ভালো সানস্ক্রিনের কোনো বিকল্প নেই। তাই, ইউভিএ সুরক্ষার বিষয়টি আসামাত্রই সানস্ক্রিনের উপাদানগুলোর উপর নজর দিতে হবে। ভালো সানস্ক্রিনের উপাদানগুলো মধ্যে অন্তত একটি হলেও থাকবে – ইকামসুল, অ্যাভোবেনজোন, অক্সিবেনজোন, টাইটেনিয়াম ডাইঅক্সাইড, সুলিসোবেনজোন এবং জিঙ্ক অক্সাইড। এগুলোর মধ্যে যে কোন একটাই যথেষ্ট ইউভিএ থেকে সুরক্ষা দিতে।
পানি এবং ঘাম রোধী
সুইমিং বা অনুশীলনের সময় ঘামে ভিজে গেলে সানস্ক্রিন ত্বক থেকে মুছে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই এমন সানস্ক্রিন বাছাই করে নিতে হবে যেটা পানি এবং ঘামেও নিজস্ব কার্যকারিতা সম্পন্ন করতে পারে এবং ত্বককে সুরক্ষা দিতে পারে। পানি এবং ঘাম রোধী একটা সানস্ক্রিনে এসপিএফ থাকলে পানিতে ভেজার পরও প্রায় ৪০ মিনিট অবধি সক্রিয় থাকে।
সেনসিটিভ স্কিনের জন্য
যাদের ত্বক সংবেদনশীল বা রোসেসিয়ার মতো তাদের উচিত হবে অত্যন্ত বাছাই করে সানস্ক্রিন পছন্দ করা। এমনকি বাচ্চাদের জন্য ব্যবহৃত সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারে। প্যারা-অ্যামিনোবেনজোয়িক এসিড (পাবা), ডাইঅক্সিবেনজোন, অক্সিবেনজোন এবং সুলিসোবেনজোনের বদলে টাইটেনিয়াম ডাইঅএক্সাইড এবং জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করুন।
ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন
ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন মূলত সানব্লক। ত্বকে লাগালে আলাদা একটি ব্যারিয়ার তৈরি করে সানস্ক্রিন, যা সূর্যের রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে ত্বকে প্রয়োগ করলে এটা দৃশ্যমান। অর্থাৎ সাদা রংয়ের ক্রিম স্পষ্ট দেখা যায় এই ক্রিম ব্যবহার করলে। ফিজিক্যাল সানস্ক্রিনে জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটেনিয়াম অক্সাইড থাকে; যা সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও উপযোগী।
কেমিক্যাল সানস্ক্রিন
কেমিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বকে প্রবেশ করে এবং ত্বক ক্ষতি করার পূর্বেই সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শুষে নেয়। কেমিক্যাল সানস্ক্রিনও নিঃসন্দেহে ভালো সানস্ক্রিন। এতে থাকে – অ্যাভোবেনজোন, অক্সিবেনজোন এবং পাবা (পারা-অ্যামিনোবেনজোয়িক এসিড)।
লিংক:
📞 ত্বকের সমস্যার জন্য প্রোডাক্ট সাজেশন পেতে কল করুনঃ 01790 270066 অথবা ইনবক্স করুন। 🌐 ১০০% অরিজিনাল কোরিয়ান প্রোডাক্টঃ https://chardike.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © chardike blog 2021