বেটা হাইড্রক্সি এসিড বা বিএইচএ এর গঠন কাঠামো অনেকটাই এএইচএর মতোই। এই এসিডও গ্রুপ অফ এসিডের সমষ্টি। এই এসিডে থাকে –
- স্যালস্যালিক এসিড (স্যালিসাইলেট, সোডিয়াম স্যালিসাইলেট, উইলোর নির্যাস);
- বেটা হাইড্রক্সিবুটানোয়িক এসিড;
- ট্রপিক এসিড;
- ট্রেথোক্যানিক এসিড
বিএইচএ পানিতে দ্রবণীয় নয় বরং তেলে দ্রবণীয় একটি এসিড। যা অতি সহজেই পোরসের মধ্য দিয়ে অয়েল গ্রন্থির ভেতর অবধি পৌঁছে যেতে পারে এবং অয়েল নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। ত্বকের মৃত কোষ এবং অয়েল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিএইচএ ত্বকে ব্রণের বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে। এমনকি ব্রণ প্রবণ ত্বকের যত্নেও এই এসিড বিশেষ কার্যকর। অয়েলি বা তেল চিটচিটে ত্বকের যত্নে এই এসিড বিশেষ কার্যকর।
উপকারিতা
বিএইচএ মূলত ত্বকে এক্সফোলিয়েশনের কাজ করে থাকে। পোরস পরিষ্কার এবং ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে বিশেষ কার্যকর এই এসিড। এছাড়াও ত্বকের যেসব উপকার করে থাকে –
- ত্বকের অসামাঞ্জস্যতা বা ডিসকালারেশন দূর করে;
- পোরস পরিষ্কার করে;
- ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ব্রণের বিস্তার রোধ করে;
- ত্বকের অয়েলি ভাব নিয়ন্ত্রণে রাখে;
- রোদে পোড়া দাগ ও বয়সের ছাপ দূর করে;
- ত্বককে সতেজ ও মসৃণ করে;
- ত্বকের লালচেভাব ও জ্বালাপোড়া কমায়;
- ত্বকের টেক্সচার উন্নত করে।
ব্যবহারবিধি
যেহেতু বিএইচএর অন্যতম প্রধান এসিড স্যালস্যালিক এবং এটি এক্সফোলিয়েশনে কাজ করে। তাই, ব্যবহার করার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সাবধানতা
বিএইচএ যুক্ত ক্রিম বা লোশন পরিপূর্ণভাবে ব্যবহারের পূর্বে খানিকটা নিয়ে ত্বকের যে কোন স্থানে ব্যবহার করে দেখতে হবে। যদি জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা লালচেভাব দেখা দেয় তবে প্রোডাক্টটি ব্যবহার না করাই উচিত। এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। আর যদি বিএইচএ যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করেই থাকেন তবে নিশ্চিতভাবেই সান প্রটেকশন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।