ত্বকের যত্নে ব্ল্যাক সুগার
স্বাস্থ্য নিয়ে কথাবার্তা হলে ‘চিনি’ কখনোই সেরা উপাদান নয়। মিষ্টি জাতীয় খাবারে চিনি থাকে বিধায় চিনির কুখ্যাতিও রয়েছে বটে। তবে যখন স্কিনকেয়ারের ক্ষেত্রে চিনির নাম আসে তখন এটি দারুণ এক কার্যকরী উপাদান হিসেবেই বিবেচিত হয়। আর ঠিক এখানটাতেই আসে ব্ল্যাক সুগার এর কথা; যা স্কিনকেয়ারের দুনিয়ায় অত্যন্ত প্রচলিত আর পরিচিত একটা উপাদান।
ব্ল্যাক সুগার হচ্ছে পুষ্টিকর এক ধরনের ঘন চিনির নাম। রান্না এবং খাবার বেকিং এর সময় এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে সাধারণত; তবে ত্বকে প্রয়োগ করলে এর আলাদা উপকারিতাও পাওয়া যায়। অনেকাংশেই এটি ক্লিনজিং প্রোডাক্টের মতোই কার্যকর। তাই স্কিনকেয়ার রুটিনে ব্ল্যাক সুগার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর আজকের আয়োজনটাও তাই ব্ল্যাক সুগারকে নিয়েই। চলুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের যত্নে ঠিক কতটা উপকারি ব্ল্যাক সুগার।
১. এক্সফোলিয়েশন
এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাবের জন্য একদম পারফেক্ট চয়েস ব্ল্যাক সুগার। কারণ, ব্ল্যাক সুগারের টেক্সচার এক্সফোলিয়েটিং স্ক্রাবের উপযুক্ত। তবে ব্ল্যাক সুগার সর্বাধিক প্রচলিত ত্বকের মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে ত্বককে পরিষ্কার করার জন্যে। ত্বকের মৃত কোষগুলো একত্রে জমে ত্বকে সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি করে। ব্ল্যাক সুগারের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলো কার্যকর উপায়ে তা নির্মূল করে দেয়। অনেক বডি স্ক্রাব এবং ফেসিয়াল স্ক্রাবেও এই উপাদানটি পাওয়া যায়। তবে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি মোটেও ভালো কোন চয়েস নয়।
ব্ল্যাক সুগার এক্সফোলিয়েটর ভালো তেলের সংমিশ্রণে যথাযথ উপায়ে ব্যবহার করলে তা দারুণ কার্যকরী হয়। ব্ল্যাক সুগারে গ্লাইকোলিক এসিড রয়েছে; যা সাধারণত এএইচএ (আলফা হাইড্রক্সি এসিড) এক্সফোলিয়েশন প্রোডাক্টে পাওয়া যায়। মানে হচ্ছে ব্ল্যাক সুগারের টেক্সচার শুধুমাত্র পোরসগুলো পরিষ্কারের জন্যই নয়; বরং এটি ত্বকের গভীরে পরিষ্কারের জন্যও বেশ কার্যকরী।
২. ময়শ্চারাইজিং
এক্সফোলিয়েশন স্কিনকেয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ; যা ত্বকের ব্রেকআউট, অসম স্কিন টেক্সচার এবং কেকি মেকআপ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তবে আমরা এও জানি নে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। অতিরিক্ত এক্সফোলিয়েশনের কারণে ত্বকে নানান সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবং ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। তাই এমন একটি এক্সফোলিয়েটর বাছাই করতে হবে যেটা ত্বকের মৃত কোষগুলোকে ঠিকই সরিয়ে দেবে। কিন্তু ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা এবং তেলকে সরিয়ে দিবে না। সুগার হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক হিউম্যাকটেন্ট, যা পরিবেশ থেকে ত্বকে আর্দ্রতা আনে এবং এই কারণেই ত্বক শুষ্ক বা অস্বস্তি অনুভব করে না। ব্ল্যাক সুগার ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
৩. ত্বকের উজ্জ্বলতা
ব্ল্যাক সুগার গ্লাইকোলিক এসিডের প্রাকৃতিক উৎস, একটি আলফা হাইড্রক্সি এসিড (এএইচএ) যা ত্বকে প্রবেশ করে এবং ত্বকের কোষগুলোর জমে থাকা ভাবটাকে ভেঙ্গে দেয়; যা ত্বকের কোষগুলোকে টার্নওভারে (এক্সফোলিয়েট) সহায়তা করে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষয় এবং রিঙ্কেলের চিকিৎসায় দারুণ উপকারী উপাদান হিসেবেও গ্লাইকোলিক এসিডের সুনাম রয়েছে। ব্ল্যাক সুগার এক্ষেত্রে ত্বকে এমন এক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে যা ত্বকের কোষের বাহ্যিক স্তরকে অপসারণ করতে কেবল সাহায্যই করে না; বরং ত্বককে উজ্জ্বল ও ঝলমলে করার জন্য সক্রিয় কোষগুলোকে কার্যকরী করে তুলে। গভীরভাবে এক্সফোলিয়েশন করার এটাই সুবিধা যে, এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
৪. ব্রণের চিকিৎসা
যেহেতু পোরসগুলো থেকে সিবাম (তেল) সরিয়ে ফেলতে ব্ল্যাক সুগার বেশ কার্যকরী, তাই এটি ব্রণের পাশাপাশি হোয়াইটহেডস এবং ব্ল্যাকহেডস এর মতো ত্বকের আরো নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও দারুনভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করে। যারাই মাইল্ড ব্রেকআউটে আক্রান্ত, দ্বিতীয় চিন্তা ব্যতিরেকেই পোরসগুলো পরিষ্কার করার জন্য নিশ্চিন্তে ব্ল্যাক সুগার ব্যবহার করতে পারেন। ব্ল্যাক সুগারে থাকা হাইড্রেটিং গ্রানুলিয়াস ত্বকের মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে পোরসগুলোকে পরিষ্কার করে। আর এতে থাকা চারকোল ত্বককে কার্যকরী করে তুলতেও সাহায্য করে।
৫. ত্বকের ভারসাম্য রক্ষা
যেহেতু ব্ল্যাক সুগার ত্বককে তেল চিটচিটে না করেও আর্দ্রতা সরবরাহ করতে পারে; তাই এটি ডিহাইড্রেটেড এবং অয়েলি, উভয় ত্বকের জন্যই সহায়ক হতে পারে। আর তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা ময়শ্চারাইজ ব্যবহার করে না এইটা স্বাভাবিক বিষয়। তার মানে এই না যে, আপনার ত্বক শুষ্ক নয় বলে ভালো হাইড্রেটেড অবস্থায় রয়েছে। তাই ব্ল্যাক সুগার ব্যবহার করতে হবে। কেননা, এটি এমন একটি প্রোডাক্ট যা হাইড্রেশনের সহায়তা করে পোরস বন্ধ করে দেয়ার মতো অতিরিক্ত তেলকে নির্মূল করে এবং সেগুলো ত্বকের প্রয়োজনীয় ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে দারুণভাবে কাজ করে থাকে।
লিংক:
📞 ত্বকের সমস্যার জন্য প্রোডাক্ট সাজেশন পেতে কল করুনঃ 01790 270066 অথবা ইনবক্স করুন। 🌐 ১০০% অরিজিনাল কোরিয়ান প্রোডাক্টঃ https://chardike.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © chardike blog 2021